দুই দশকে ভারতের প্রজনন হারে গুরুতর পরিবর্তন হয়েছে। ২০০০ সালেও মোট প্রজনন হার (টিএফআর) ছিল ৩.৫। এখন এই হার কমে হয়েছে ১.৯। 
ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অফ পপুলেশন (আইএএসপি)’র সমীক্ষায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। 
এই হিসেব অনুযায়ী ২০৮০-তে ভারতের জনসংখ্যা ১ কোটি ৮০ লক্ষ বা ১ কোটি ৯০ লক্ষের মধ্যে থাকবে। 
মোট প্রজনন হার হলো প্রতি মহিলা পিছু সন্তান জন্মের গড়। মোট প্রজনন হার ১.৯ হওয়ায় তা প্রতিস্থাপন হার বা রিপ্লেসমেন্ট রেট ২.২’র কম। সেক্ষেত্রে জনসংখ্যা খুব বাড়ার সম্ভাবনা আর নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।    
আইএএসপি’র সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্রন বলেন, "২০০০ সালে ভারতের গড় প্রজনন হার ছিল ৩.৫ আর এখন তা ১.৯ এসে পৌঁছেছে। প্রজনন হারের অতি দ্রুত পতন ঘটছে।" 
চন্দন বলছেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে জীবনমানের উন্নয়ন এবং মহিলাদের শিক্ষা ও সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পাওয়াতেই প্রজননের মাত্রা কমেছে। বাড়ছে সচেতনতা। ফলে গর্ভনিরোধকের ব্যবহার বাড়ছে। ’’ তিনি আরও বলেন, এই কারণেই বিবাহ ও সন্তানধরণের বিষয়টি সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে পরিবারগুলি আকারে ছোট হচ্ছে । 
চন্দ্রন আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের প্রজননের হার অতি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ২০২৩ সালের স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম অনুসারে, এই রাজ্যে ২০১৩ সালে গড় প্রজনন হার ছিল ১.৭ তা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ১.৩। প্রায় ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ প্রজনন হারের বিচারে সবচেয়ে নিচের স্তরে রয়েছে।  
সংবাদসংস্থাকে চন্দ্রন বলেন, "এখন বহু মানুষই ৬০ বছরেরও বেশি বয়স অবধি বাঁচেন। যেখানে সন্তানরা চাকরির জন্য প্রবাসী হয়ে যাচ্ছেন সেখানে বয়সকালীন দেখাশোনার বিষয়টি বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।"