জেহানাবাদের মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ৭ দর্শনার্থীর মৃত্যুর স্পষ্ট কারণ মঙ্গলবার দুপুরেও জানায়নি প্রশাসন। সোমবার বিহারের এই জেলার মকদুমপুরে বাবা সিদ্ধনাথ মন্দিরে সাত জন মারা গিয়েছেন ভিড়ের চাপে। আহত হয়েছেন অন্তত ৯ দর্শনার্থী।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র সংবাদমাধ্যমে জানায় যে মন্দিরের বাইরে ফুল বিক্রেতাদের সঙ্গে বচসা চলছিল দর্শনার্থীদের একাংশের। এই কাঁওয়ারিদের সঙ্গে বচসার জেরেই গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে। ছড়াতে থাকে আতঙ্ক। অন্য দর্শনার্থীরা ভয়ে ছুটোছুটি করতে থাকেন। শ্রাবণের চতুর্থ সোমবার বলে মন্দিরে ভিড় ছিল বেশি বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
উপাসনাস্থলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর একের পর এক ঘটনা রয়েছে দেশে। একেবারে টাটকা উত্তর প্রদেশের হাথরসে ১২০ জন দর্শনার্থীর মৃত্যুর স্মৃতি। এখানে ‘ভোলেবাবা’-র অনুগামীরা সমবেত হয়েছিলেন বিপুল সংখ্যায়। প্রশ্ন উঠেছিল উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। বিভিন্ন অংশ মনে করছেন, ধমীয় স্থানে ভিড়ের চাপে মৃত্যু এড়ানোর মতো নির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকছে না। যার জেরে একের পর এক মৃত্যু হয়ে চলেছে।
মকদুমপুরে সিদ্ধনাথ মন্দিরের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ বলছেন, ফুল বিক্রেতাদের সঙ্গে এই শিবমন্দিরে দর্শনার্থীদের মারামারির সময়ই পুলিশের উচিত ছিল আটকানো। তা থেকেই এত বড় ঘটনা। আরও বিভিন্ন জন বলেছেন, ঘটনা সামালতে পুলিশ লাঠি চালাতে থাকে। ভিড়ের মধ্যে পুলিশের মারমুখী চেহারায় আতঙ্ক দ্রুত ছড়িয়েছে। পুলিশ ভিড় সামলানোর যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখেনি।
JEHANABAD STAMPEDE
জেহানাবাদের মন্দিরে ভিড়ের চাপে মৃত্যুতে প্রশ্নে প্রশাসন
×
Comments :0