Left Front 10th February

দুর্নীতি, বকেয়া: ১০ ফেব্রুয়ারি প্রচারে বামফ্রন্ট

রাজ্য

‘‘এ রাজ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেমন লড়াই করব, তেমন রাজ্যের বকেয়া কেন্দ্রের থেকে আদায়ের দাবিতেও লড়াই করব। বরাবরই বামপন্থীরা এই লড়াই করেছে। সারা রাজ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি এই প্রচারে নামবে বামফ্রন্ট।’’ 
শুক্রবার কলকাতায় মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনেে এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সারা দেশেই বামপন্থীরা এই প্রচার চালাবে।
তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি’র কড়া সমালোচনা করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ চাইছেন বেকারি থেকে মুক্তি, মজুর চাইছেন মজুরি। একশো দিনের আইনেই দুর্নীতি করলে শাস্তির বিধান আছে। মানুষের টাকা আটকে রাখা হচ্ছে কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন্দ্র। বরং নাটক করা হচ্ছে। দিল্লির বিজেপি সরকার একটি অভিযোগেরও তদন্ত করেনি। হেমন্ত সোরেনকে রাতারাতি বন্দি করল। এখানে হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট বললেও তদন্ত হচ্ছে না। বোঝাপড়া স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘সংসদে এমন লোকজনকে পাঠাতে হবে যারা নাটক না করে সংসদের মধ্যে, সংসদের বাইরে রাজ্যের মানুষের জন্য লড়াই করতে পারে।’’ মমতা ব্যানার্জি এবং তৃণমূলের বকেয়া আদায়ের লড়াইয়ে প্রশ্ন তোলেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘এর আগেও কেন্দ্রের থেকে টাকা আদায়ের নামে ধর্ণায় বসেছিলেন, সেখানেও সিপিআই(এম) এবং সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।’’
সংসদে চলছে বাজেট অধিবেশন। সেলিম বলেন, ‘‘টাকা না দিলে সংসদে বলার কথা। অথচ বিজেপি বা তৃণমূলের সাংসদরা সংসদে সে কথা বলেন না। সেখানে লড়াই করছেন না কেন?’’ 
কেন্দ্রের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের কড়া সমালোচনা করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘বাজেটে মনরেগায় টাকা কমানো হয়েছে। গত বছরও কমানো হয়েছে। আবার বকেয়া রয়েছে রাজ্যগুলির। সবচেয়ে দুর্বল অংশ যেমন দলিত, আদিবাসী, মহিলা, শিশু তাদের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, গ্রামোন্নয়ন, আবাস যোজনা সব ক্ষেত্রে কমেছে। কেন্দ্রের সরকারের ব্যর্থতা প্রকট হয়ে উঠেছে। কেন্দ্র এবং এ রাজ্যের সরকার, দুয়েরই জাঁকজমক দেখনাই চেকনাই রোশনাইয়ে খরচ বাড়ছে। আর পুষ্টি যোজনা,আবাস যোজনায় কমছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষায় বরাদ্দ বাজেটের ২.৫ শতাংশ। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার পদ খালি পড়ে আছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। ৪০ শতাংশ স্নাতক বেকার। বার্তা চলে যাচ্ছে, পড়াশোনা করে হবে কি। ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র হলো শিক্ষা। সেই শিক্ষাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। বড়লোক এবং গরিব বা মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের মধ্যে বৈষম্য আরও বাড়ছে।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘ধর্মীয় মেরুকরণ তৈরি করা হচ্ছে এসব আড়ালের জন্য। বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী রামকে নিয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর তো দেশে এনে বিচারের মুখে ফেলার কথা ছিল দাউদ ইব্রাহিমকে। দেশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে বিদেশে পালানো নীরব মোদী, মেহুল চোকসিকে। তাদের কী হলো?’’

Comments :0

Login to leave a comment