রাজ্যপালের ভাষনের মাধ্যমে শুরু হয় অধিবেশন। ইডি হেপাজতে থাকা হেমন্ত সোরেন এদিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের প্রধান বিধানসভায় বিতর্কে অংশও নেন।
এদিন চম্পাই এবং হেমন্ত দুজনেই কড়া ভাষায় বিজেপি এবং রাজভবনকে আক্রমণ করেন। চম্পাই দাবি করেন রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
হেমন্ত তার ভাষনে নিজের গ্রেপ্তারি নিয়ে সরাসরি রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন তার গ্রেপ্তারির পিছনে রাজ্যপালের হাত আছে। উল্লেখ্য ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান এদিন নিজের দলের আদিবাসীর ভোটের কথা মাতায় রেখে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘তারা (বিজেপি) চায় না যাতে আদিবাসীরা উন্নতি করুক। আদিবাসী পরিবারের ছেলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক তা এরা চায় না।’’ তিনি বলেন, তার সরকার যাতে পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ না করতে পারে তার জন্য প্রতি পদে পদে বাঁধা তৈরি করা হবে। এদিন বিধানসভায় নিজের বক্তৃতায় চম্পাই সোরেন জানিয়েছেন তার সরকারে হেমন্ত সোরেনের সরকারের মতোই কাজ করবে।
৮১ জন বিধায়কের মধ্যে ৪১ জনের সমর্থন পেলেই সরকার গঠন করতে পারতেন চম্পাই। কিন্তু এদিন তার প্রতি সমর্থন ছিল ৪৭ জনের। কংগ্রেস, জেএমএম এবং আরজেডি ছাড়াও সমর্থন জানায় সিপিআইএমএল।
হেমন্ত গ্রেপ্তার হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিধায়ক দলের বৈঠক থেকে চম্পাইয়ের নাম উঠে আসে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। বহু টালবাহার পর শপথ নেন চম্পাই সোরেন। শপথ নেওয়ার পরপরই ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে জোটের বিধায়কদের রাজ্যের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অনেকের মনে করছেন কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রে বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপি যে ভাবে সরকার গঠন করেছে তা যাতে ঝাড়খন্ডে না হয় তার জন্য এই পদক্ষেপ। রবিবার রাতে বিধায়কদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। এদিন তারা সকলেই চম্পাই সরকারের প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন।
Comments :0