Chuchura Murder

রহস্যজনক ‘খুন’ চুঁচুড়ায়

জেলা

টিনের ঘরের ভিতর আলামারি থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য চুঁচুড়া শ্যামবাবুর ঘাটে। পরশু থেকে নিখোঁজ ছিলেন বৃদ্ধা,আজ ঘরের ভিতরে আলামারি থেকে কাপড় বের করার জন্য ছেলে আলামারি খুলতেই মৃতেদেহ দেখতে পান।খবর দেওয়া হয় পুলিশে।চুঁচুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।চুঁচুড়া শ্যামবাবুর ঘাট এলাকার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা।মৃতার নাম ভারতি ধারা(৬২)।আলমারির ভিতর কি করে ঢুকলেন বৃদ্ধা নাকি তাকে মেরে কেউ লুকিয়ে রেখেছিল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।পুলিশ মৃতেদহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।


বৃদ্ধার ছেলে বিশ্বনাথ ধারা বলেন,মা ওই ঘরেই থাকতো।বৃদ্ধ হলে যা হয় সেরকমই বাবা-মার সঙ্গে হামেশাই ঝগড়া ঝাঁটি হত।পরশুদিন থেকে মাকে আর দেখতে পাইনি।বাবাকে জিজ্ঞাসা করি মা কোথায় গেল?বাবাও বলল জানানে।তারপর মাসির বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি।ফেসবুকে দিয়েছি।গতকাল চুঁচুড়া থানায় ডাইরিও করি।আজকে সকালে কাপড় বার করতে গিয়ে মায়ের মৃতদেহ দেখতে পাই।কি করে হলো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া হলেও কোনোদিন মায়ের গায়ে হাত দিতেন না বাবা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বৃদ্ধ কাশিনাথ স্ত্রীর কাছে মদ খাওয়ার পয়সা চাইত।বৃ্দ্ধা পরিচারিকার কাজ করে যা আয় করতেন তাতে ভাগ বসাত কাশিনাথ তা নিয়ে অশান্তি ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা দেবযানি ধারা বলেন,বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আলাদা একটি ঘরে থাকতেন।তার ছেলে বৌমা পাশের একটি বাড়িতে থাকেন।বৃদ্ধা যে নিখোঁজ হয়ে গেছে সে বিষয়ে বৃ্দ্ধ ছেলে বৌমাকে বৃদ্ধ কিছু জানায়নি।দু জনে এক সঙ্গে থাকে অথচ একজনকে পাওয়া যাচ্ছে না সে বিষয়ে তার কোনে হেলদোল নেই এটাই অবাক করেছে।


মৃতার বৌমা কাজল ধারা অবশ্য সরাসরি শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।তিনি বলেন,শাশুড়ি মাকে একদমই সহ্য করতে পারতেন না শ্বশুর মশাই।খারাপ খারাপ কথা বলতেন খুব ঝগড়া করতেন।আমার স্বামী ক্যাটারিং এর কাজ করে বাইরেই থাকে বেশিভাগ সময়।এই ঘটনার পর থেকে শ্বশুর মশাই তার ঘরে তালা দিয়ে রাখছিল আর বলছিল রেল লাইনে খোঁজ গিয়ে।আমার অনুমান উনি মেরে আলমারিতে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন।না হলে আলমারি খুলতেই পরে যাবে কেন?

Comments :0

Login to leave a comment