ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি এক্রামুল হকের বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের গুরুতর অভিযোগ ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ভোগদখলে থাকা জমি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখলের চেষ্টা করেন ওই শাসকনেতা।
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে কোদাল হাতে জমির একটি অংশে আল বাঁধতে নামেন এক্রামুল হক। মালিকপক্ষ আপত্তি জানালে, তাঁদের হেনস্তার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। এক ক্ষুব্ধ বাসিন্দার বক্তব্য—
“ক্ষমতার জোরে মানুষের জমি দখল করতে দেওয়া হবে না। তিনি যত বড় নেতা হোন, আইনকেই মানতে হবে।”
অভিযোগ, মালিকপক্ষ বারবার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাইছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত নেতা কোনও আলোচনায় রাজি না হয়ে উল্টে জবরদখলের পথেই এগোতে থাকেন। ফলে ক্ষোভ আরও বাড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।
ঘটনাকে ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সিপিআই(এম)। জেলা কমিটির সদস্য প্রাণ গোপাল ভাওয়ালের দাবি,
“তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে দখলদারির রাজত্ব কায়েম করেছে। সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করা এখন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ থাকে, তবে এই বেআইনি দাদাগিরির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সিপিআই(এম)'র স্থানীয় নেতা কাজী মোজ্জাফর হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও প্রতিবাদী মানুষজনের পাশে আমরা রয়েছি এবং প্রয়োজনে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
যদিও শাসকদলীয় অংশের দাবি, এটি রাজনৈতিক নয়—একটি পারিবারিক বিবাদ। এক্রামুল নিজের জমি দাবি করে ভাইপোদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওও ছড়িয়েছে, যেখানে দেখা যায় কোদাল হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তিনি। পরে তিনিই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনার ফলে শাসকদলের মধ্যেই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এমন আচরণ করছেন এক্রামুল। এর আগেও একাধিক বিতর্কিত ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়েছিল বলে দাবি তাঁদের।
গাদং-১ এলাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে টানটান। স্থানীয়দের স্পষ্ট বক্তব্য—“ক্ষমতার জোরে দাদাগিরি বরদাস্ত করা হবে না।”
Dhupguri
জোর করে জমি দখল তৃণমূল নেতার, প্রতিবাদ ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং-এ
তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি এক্রামুল হক
×
Comments :0