শারদ উৎসবের মরশুমে বেশকিছু বাড়তি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। শিয়ালদহ এবং হাওড়া থেকে চলবে এই বিশেষ ট্রেনগুলি। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ১৮টি স্পেশাল ট্রেন চলবে শিয়ালদহ পূর্ব রেল শাখায়। বারুইপুর, বজবজ, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, নৈহাটি, রানাঘাট ও কল্যাণী, ডানকুনি রুটে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে ট্রেনগুলি। হাওড়া শাখাতেও রাতের জন্য রয়েছে বিশেষ কয়েকটি ট্রেন। শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে আসানসোল-বর্ধমান ও অন্ডাল-সিউড়ি রেলপথে অতিরিক্ত মেমু স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেল। সোমবার রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ৯ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অতিরিক্ত ট্রেন চলবে। অন্ডাল থেকে সিউড়ির উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়বে বেলা ১ টায়। সিউড়ি থেকে ছাড়বে বিকেল সাড়ে ৩টায়। অন্যদিকে, আসানসোল থেকে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছাড়বে বিকেল ৩টায়। বর্ধমান থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত ৯.৫৫ মিনিটে। দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখেই বেশিরভাগ ট্রেনই মধ্যরাতে রাখা হয়েছে। সবই ট্রেনই চলবে রাত ১২টার পরে। যেমন শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ যাওয়ার শেষ ট্রেন পাওয়া যাবে রাত ১টা ২০ মিনিটে এবং বনগাঁ থেকে শিয়ালদের শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে। শিয়ালদা থেকে শেষ রানাঘাট লোকাল ছাড়বে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে। রানাঘাট থেকে শিয়ালদা যাওয়ার শেষ ট্রেন মিলবে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। শিয়ালদা থেকে শেষ ডানকুনি লোকাল ছাড়বে রাত সাড়ে ১১টায়। ডানকুনি থেকে শিয়ালদা আসার ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১২টা ২৫ মিনিটে।
শিয়ালদহ থেকে একটি কল্যাণী স্পেশাল ছাড়বে রাত ১ টা ৩০ মিনিটে। পৌঁছাবে রাত ২ টো ৫০ মিনিটে। আরেকটি ছাড়বে রাত ২ টো ৩০ মিনিটে। সেই ট্রেনটি কল্যাণী পৌঁছবে ভোর ৩ টে ৫০ মিনিটে। কল্যাণী থেকে একটি ট্রেন ছাড়বে রাত ১২ টা ১০ মিনিটে। শিয়ালদহে পৌঁছবে রাত ১ টা ৩০ মিনিটে। আরও একটি ট্রেন কল্যাণী থেকে ছাড়বে রাত ৩ টেতে। শিয়ালদহে পৌঁছাবে ভোর ৪ টে ২০ মিনিটে।
শারদ উৎসবের ওই চার দিন দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে বারুইপুর এবং শিয়ালদার মধ্যে। বারুইপুর থেকে শিয়ালদাগামী ট্রেনগুলি ছাড়বে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিট, রাত ১টা ২৫ মিনিট এবং ভোর ৩টে ১০ মিনিটে। শিয়ালদহ থেকে বারুইপুর যাওয়ার ট্রেন ছাড়বে দুপুর ৩টে ২৫, রাত সাড়ে ১২টা এবং রাত ২টো ২০ মিনিটে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে শিয়ালদা-বজবজ শাখায়। বজবজ থেকে রাত সাড়ে ১২টায় ছাড়বে শিয়ালদাগামী শেষ ট্রেনটি। শিয়ালদহ থেকে বজবজ যাওয়ার শেষ ট্রেনটি ছাড়বে রাত সাড়ে ১১টায়।
Comments :0