গাজার পর এবার লেবাননের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েলী প্রশাসনের অভিযোগ, লেবাননের হেজবোল্লা সংগঠন শনিবার গোলান হাইট্সের ড্রুজ আরব অঞ্চলে রকেট হামলা চালায়। সেই হামলায় ১২জন কিশোর প্রাণ হারিয়েছে। এর পালটা হেজবোল্লাকে সঠিক উত্তর দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে বার্তা দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
প্রসঙ্গত, আরব ইজরায়েল যুদ্ধের সময় সিরিয়ার থেকে গোলান হাইট্স দখল করে ইজরায়েল। সেই দখল করা অঞ্চলে রকেট হামলা ঘটে। যদিও হেজবোল্লার দাবি, তাঁরা রকেট হামলা চালায়নি। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে মঙ্গলবার ইজরায়েলী সেনা জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে ১০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। সেই আঘাতে কমপক্ষে ১জন হেজবোল্লা কর্মী প্রাণ হারিয়েছে।
অপরদিকে এক হেজবোল্লা নেতাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে, সমস্ত ধরনের ইজরায়েলী আগ্রাসন, এমনকি স্থল অভিযানের মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুত হেজবোল্লা।
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অশান্তি ঠেকাতে তৎপর হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। ইজরায়েল এবং হেজবোল্লা- দুই তরফকেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার হেজবোল্লা নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করেছে, তাদের বিমানরোধী ক্ষেপনাস্ত্রের ভয়ে লেবাননের আকাশসীমা থেকে পালিয়ে গিয়েছে ইজরায়েলী যুদ্ধবিমান। অপরদিকে ইজরায়েলের এন-২ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হেজবোল্লার ছোড়া রকেটে ১ জন ইজরায়েলী নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার রয়েটার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, উগ্র দক্ষিণপন্থী জোট শরিকদের আশ্বস্ত করতে রণহুঙ্কার দিলেও, নতুন করে সংঘাতে জড়াতে ইচ্ছুক নন নেতানিয়াহু। প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নিরন্তর আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েলী সেনা। হেজবোল্লা জানিয়েছে, ইজরায়েল গাজায় হামলা বন্ধ করলেই তাঁরা আক্রমণের পথ থেকে সরে আসবে।
প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর থেকে হেজবোল্লা এবং ইজরায়েলের মধ্যে চলা কম তীব্রতার সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪৫০ জন লেবানিজ নাগরিক এবং ২৩ জন ইজরায়েলী নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। ইজরায়েলের দাবি, সেনাবাহিনীর ১৭ জনের বেশি সদস্যকে হত্যা করেছে হেজবোল্লা।
আমেরিকার তরফেও বার্তা এসেছে, নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ আটকাতে তৎপর হোয়াইট হাউস। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন মঙ্গলবার আশা প্রকাশ করেছেন, ইজরায়েল এবং হেজবোল্লার মধ্যে সংঘর্ষ এখনও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
Comments :0