Bande Mataram Discussion

রাজ্যসভায় বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনায় নাড্ডার নিশানায় কংগ্রেস এবং নেহেরু

জাতীয়

বন্দে মারতমের ১৫০ বছর উপলক্ষে সংসদে আলোচনা কিন্তু সরকার পক্ষের নিশানায় দুজন, কংগ্রেস এবং নেহেরু। রাজ্যসভায় এদিন আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মোদী, অমিত শাহের মতো নাড্ডার নিশানাতেও কংগ্রেস এবং নেহেরু। 
নাড্ডা বলেন, ‘বন্দে মারতমের যেই সম্মান এবং মর্যাদা পাওয়া উচিত ছিল সেই মর্যাদা তারা পায়নি। এই পরিস্থিতির জন্য একমাত্র দায়ী তারা যারা সেই সময় ক্ষমতায় ছিলেন।’ নাড্ডা কথা থেকেই স্পষ্ট তিনি কংগ্রেস এবং নেহেরুকেই নিশানা করছেন। 
তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস কখনও বন্দে মাতরমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না। তার কথায়, কংগ্রেস সব সময় নেহেরুর সময়ের সাফল্যের কথা বলে তার কৃতিত্ব নিতে চায়, কিন্তু কখনও তারা কোন ব্যার্থতার দায় নেয় না। 
বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সামনে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই আলোচনা রাখা হয়েছে।
রাজ্যসভায় মঙ্গলবার অমিত শাহ দাবি করেছেন বাংলার ভোটকে মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিম চন্দ্র চ্যাটার্জি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঠিক, কিন্তু বন্দে মাতরম শুধু একটি রাজ্যের বিষয় নয়।’ প্রধানমন্ত্রীর মতো শাহ বলেন, নেহেরু বন্দে মাতরমকে টুকড়ো টুকড়ো করেছে। তিনি অভিযোগ করেন আরএসএসের সেই সব কর্মী যারা বন্দে মাতরম উচ্চারণ করতেন তাদের জরুরী অবস্থার সময় জেলে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার লোকসভায় আলোচনার সময় সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের সাংসদরা প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে আরএসএসের কী ভূমিকা ছিল তার কোন উত্তর দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নিজে। 
বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনায় সরকার পক্ষ বলা ভালো বিজেপি নিজেদের দেশ ভক্ত প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শাহ বলেন, ‘আজও, যখন একজন সৈনিক সীমান্তে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেন, তখন তার ঠোঁটে থাকে বন্দে মাতরম শব্দ। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এটি একটি সমবেত স্লোগান হয়ে ওঠে এবং অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে রয়ে গেছে। সংসদের উভয় কক্ষে এই আলোচনার মাধ্যমে, শিশু এবং তরুণরা বন্দে মাতরমের স্থায়ী গুরুত্ব আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে।’

Comments :0

Login to leave a comment