পাঁচবার হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় ইডির পক্ষ থেকে কেজরিওবালের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। আদালতের এই নির্দেশ সামনে আসার পর ‘আপ’ প্রধান সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে আদালতের নির্দেশ খতিয়ে দেখার পর তিনিও আইনি ভাবে পদক্ষেপ নেবেন। তাঁর কথায়, আইনি পদ্ধতিতেই ব্যাখ্যা দেওয়া হবে কেন ইডি’র পাঠানো হাজিরার নোটিশ বেআইনি। উল্লেখ্য আপ এবং কেজরিওয়ালের পক্ষ থেকে বার বার দাবি করে আসা হয়েছে যে ইডির এই সমন বেআইনি।
গত ৩১ জানুয়ারি কেজরিওয়ালকে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ দিয়েছিল ইডি। তিনি উপস্থিত হননি। এর আগে একাধিক হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। কেজরিওয়াল এবং তার দলের অভিযোগ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত বছর এই একই মামলায় ‘আপ’ প্রধানকে প্রায় নয় ঘন্টা জেরা করে সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদের পর কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন যে তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার কাছে নেই।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জেলে। আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং গ্রেপ্তার হয়েছেন গত অক্টোবর মাসে।
২০২০’তে নতুন নীতির প্রস্তাব নেয় ‘আপ’ সরকার। ২০২১’এ চালু নীতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে দিল্লিতে মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দেওয়া হয়। তার আগে সরকার নিয়ন্ত্রিত দোকান থেকেই কেবল মদ বিক্রি করা যেত। ‘আপ’-র বক্তব্য, নিলাম করে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই’র অভিযোগ, নিলাম হলেও আসলে রাজনৈতিক স্তরে অর্থের বিনিময়ে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ২০২২’এ প্রথম এই অভিযোগ তুলেছিলেন দিল্লির মুখ্যসচিব।
Comments :0