Bangla Bachao Jatra

শ্রমজীবীর লড়াইয়ের অস্ত্র ঐক্যকে বাঁচাতে হবে: আভাস রায় চৌধুরি

রাজ্য বাংলা বাঁচাও যাত্রা

‘খেটে খাওয়া মানুষের একটাই শক্তিটা হলো ঐক্য। সেই ঐক্য কে ভাঙতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল। একতাকে জোরালো করতে হবে। বাংলাকে বাঁচাতে হলে শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যকে শক্তিশালী করতে হবে। তৃণমূলকে হারাতে বিজেপিকে জেতালে হবে না। বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে জোরালো করতে হবে। সম্প্রীতি, ঐক্যের পরিবেশ ফেরাতে হবে।’ মূর্শিদাবাদের রানিনগরের সমাবেশে বললেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায় চৌধুরি।
তিনি বলেন, ‘বামফ্রন্ট যখন ১৯৭৭ সালে সরকারে এলো তখন গরীবির আওতায় ৮০ শতাংশ। যখন বিদায় নিচ্ছে তখন ২০ শতাংশ মানুষ গরীবির আওতায়। বামফ্রন্ট ধান, পাত উৎপাদনে অনেক ওপর নিয়ে যেতে পেরেছিল।’ 
আভাস রায় চৌধুরি বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ কৃষি ভিত্তিক জেলা। বামফ্রন্ট ধান, পাট উৎপাদনে অনেক ওপর নিয়ে যেতে পেরেছিল। বামফ্রন্ট আসার আগে কম পরিবার ছিল তিন চার বেলা খেতে পারতো। বামফ্রন্ট জমি দিয়েছিল কৃষিজীবীকে। অধিকার ছিল না জমির। ভূমি সংস্কার, পঞ্চায়েত মাটির মানুষকে অধিকার দিয়েছিল। আর আজ যারা ক্ষমতায় তারা তলায় তলায় মাটি বেচে দিচ্ছে। তাদের নবান্ন মনে বাবুর বাড়ির উচ্ছিষ্ট খেতে হবে। বামফ্রন্ট আসার পর বাবুর বাড়ির ভাতের জন্য বসে থাকত না কৃষকের ঘরের ছেলেমেয়েরা।’ 
তিনি বলেন, এই মুর্শিদাবাদে কলেজে হলো। গরীব বাড়ির যে ছেলে, মেয়েরা গরু চরাত সে স্কুলে গিয়েছে। শিক্ষক হয়েছে। আজ স্কুল বন্ধ হচ্ছে। ক্লাস ঘরে ছেলেমেয়েরা যাচ্ছে না। তাহলে তৃণমূল বিজেপি’র সুবিধা।’
শিল্পায়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কারখানা করতে চেয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। মমতা তা বন্ধ করে সর্ষের চাষ শুরু করেছে। আসলে সর্ষে ফুল দেখিয়েছিল। আর রাজ্যের যুবরা কফিনবন্দি হয়ে ফেরে। তাই এই সরকার বদলাতে হবে।’ 
বিজেপিকে আক্রমণ করে আভাস বলেন, ‘দিল্লির সরকার কেবল লাইন দাঁড় করায়। ভাঙন জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করে না এরা। ভাঙন ধর্ম মানে না।’

Comments :0

Login to leave a comment