জার্মানিতে ২৭ ঘন্টার ধর্মঘটের নোটিস দিলেন বিমানসংস্থা লুফথানসা’র কর্মীরা। শ্রমিক কর্মচারীদের সংগঠন ভার্ডি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৪টে থেকে বুধবার সকাল ৭:১০ অবধি ধর্মঘটে সামিল হবেন বিমান সংস্থার কর্মচারীরা।
এই ধর্মঘটের ফলে ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ, হ্যামবার্গ, বার্লিন, স্টুটগার্ট, ডুসেলডর্ফের মত শহরগুলিতে বিমান পরিষেবা ব্যহত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কোলন, বন’র মত শহরগুলিতেও প্রভাব পড়তে চলেছে।
লুফথানসা জানিয়েছে, কর্মী ধর্মঘটের জেরে ১ হাজারের মধ্যে ৯শো বিমান বাতিল করতে হয়েছে। এরফলে প্রভাবিত হয়েছেন ১ লক্ষের বেশি যাত্রী।
দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন লুফথানসার কর্মীরা। ২৫ হাজার লুফথানসা কর্মীর জন্য ১২.৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপ ঠেকাতে ‘ইনফ্লেশন বোনাস’ বা মূল্যবৃদ্ধি বোনাসেরও দাবি জানান তাঁরা।
গত সপ্তাহে লুফথানসার তরফে ১০ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির কথা জানানো হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত সংস্থার ৯৬ শতাংশ কর্মী প্রত্যাখ্যান করেন। কর্মচারীদের বক্তব্য, জার্মানিতে লাগামছাড়া হারে মূল্যবৃদ্ধি বাড়ছে। কিন্তু তারসঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁদের বেতন বৃদ্ধি ঘটছে না। সংস্থার তরফে যেই পরিমাণ বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তা যথেষ্ট নয়। তাই ধর্মঘটের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে জার্মানিতে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৯ শতাংশ। ২০২২ সালে সেটা ছিল ৬.৯ শতাংশ।
লুফথানসা কর্মীদের সংগঠন ভার্ডি’র নেতা মার্ভিন রেসচিনস্কি জানিয়েছেন, ‘‘সংস্থার তরফে পাইলটদের বিপুল বেতন বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে। কিন্তু গ্রাউন্ড স্টাফরা প্রতি ঘন্টায় ১৩ ইউরো’র কম বেতন পান। এই বঞ্চনা এবং অসাম্য মেনে নেওয়া যায়না।’’
চলতি মাসের গোড়াতে একপ্রস্থ ধর্মঘটের সাক্ষী থেকেছে জার্মানির বিমানবন্দরগুলি। সেইবার বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন একের পর এক বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা। ১ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘটের জেরে বাতিল হয়েছিল ১ হাজারের বেশি বিমান। ১১টি বিমানবন্দরে হওয়া সেই ধর্মঘটে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফরাও অংশ নেন। ধর্মঘটের ফলে জার্মানির বিমান পরিষেবা সম্পূর্ণ ভাবে স্তব্ধ হয়ে যায়।
Comments :0