বুলেট ট্রেন(Bullet Train) প্রকল্পের জন্য মহারাষ্ট্রের থানে ও পালঘর এলাকায় কাটা পড়বে ম্যানগ্রোভ(Mangrove) অরণ্যের প্রায় ২১,৯৯৭ গাছ (Tree)। মহারাষ্ট্রে বেঁচে থাকা ক্ষুদ্র এই ম্যানগ্রেভ অরণ্যকে রক্ষা করতে পরিবেষ প্রেমী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আদালতও মান্যতা দিল উন্নয়নকে। মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত লাইনে মহারাষ্ট্রের এই ম্যানগ্রোভ অরণ্য।
বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অভয় আহুজার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ, যেহেতু এই প্রকল্পের সঙ্গে মানব উন্নয়নের বিষয়টি জড়িয়ে আছে তাই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের প্রায় ২১,৯৯৭ গাছ কাটার অনুমতি দিল আদালত। যদিও যদিও জাতীয় দ্রুত গতি রেল কর্তৃপক্ষ ৫৩,৪৬৭টি গাছ কাটার অনুমতি চেয়েছিল। আদালত সেই সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষকে যে সংখ্যক গাছ কাটা হবে তার ৫গুন বেশি ম্যানগ্রোভ রোপনের নির্দেশ দিয়েছে।
যদিও আদালতের এই রায়ের তীব্র বিরোধীতা করেছে পরিবেশ কর্মী ও বম্বে এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন গ্রুপ (Bombay Environmental Action Group) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের দাবি আজ অবধি দেশে ম্যানগ্রেভ চারা কতদিন বেচেছে সেরকম কোনও পরীক্ষা হয়নি। সুতরাং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ম্যানগ্রোভের চারা লাগালেই যে তা বাঁচবে এবং প্রাকৃতিক নিয়মে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মতো হবে তা নয়। প্রকৃতির ওপরে ম্যানগ্রোভ কাটার যে প্রভাব পড়ে তাও আদালতে পেশ করা হয়নি। পৃথিবীতে উষ্ণায়নের চরম প্রভাব পড়ছে। সেখানে আদালতের এই ধরনের রায় যথেষ্টই উদ্বেগের বলে দাবি করেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।
Comments :0