Bangla Bachao Jatra

দেশ বাঁচাতে বাংলার সম্প্রীতির ঐতিহ্য রক্ষার আহ্বান সেলিমের

রাজ্য জেলা বাংলা বাঁচাও যাত্রা

শুদ্ধসত্ব গুপ্ত: রাণীনগর
দেশ বাঁচাতে হলে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। তার অর্থ হলো বাংলার সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে বাঁচানো,  ঐক্যকে বাঁচানো শিক্ষাকে বাঁচানো, সংস্কৃতিকে বাঁচানো,  নবজাগরণের সংস্কৃতিকে রক্ষা করা। সোমবার রাণীনগরে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’-র সমাবেশের মাঠে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
এদিন বাংলা বাঁচাও যাত্রা ভগবানগোলা থেকে রাণীনগর এসে পৌঁছেছে,  রাত্রেও রয়েছে সমাবেশ। যেখানে যেখানে গেছে এই যাত্রা দেখা গিয়েছে মানুষের উদ্দীপ্ত জমায়েত। হয়েছে মিছিল হয়েছে বাইক মিছিল। রণীনগরে ডাকবাংলো মাঠে এদিন সমাবেশ হয়েছে লড়াকু মেজাজে। 
সেলিম বলেন, “ধন্যবাদ। লোকসভায ভোটে এই বিধানসভায় জয়ী করেছিলেন। সহজ ছিল না। হিন্দু মুসলমান করে গোলমাল পাকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হুমায়ুন কবিরকে দিয়ে উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। এবার মমতা ব্যানার্জির ধোঁকা দেওয়ার রাজনীতি পরিষ্কার হয়ে গেল। বেআব্রু হয়ে গেছে।”
সেলিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মহাকাল মন্দির করব বললেন যখন উত্তরবঙ্গ ভাসছে। আজ হুমায়ুনকে শাস্তি দিচ্ছেন। আগে তো মমতাকে শাস্তি দেওয়া দরকার।” সেলিম বলেন, “সরকারের টাকা মানে মানুষের করের টাকা। সেই টাকায় দরকার ছিল রাণীনগরে কলেজ করা। হলো না। বরং স্কুল বন্ধ হচ্ছে।”
সেলিম বলেন, “শুভেন্দু বিজেপি-তে গেল। শিক্ষার দাবিকে ভাগ করল। বলল মাদ্রাসা আলাদা, স্কুল আলাদা। আসলে মোদী এবং মমতার রাজনীতি মানুষের শক্তি কমিয়ে দেয়। যাতে মানুষ ন্যায্য দাবি আদায় করতে না পারেন।”
সেলিম বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে স্বভাবিক মিত্রতা বিজেপি’র। গুজরাটের গণহত্যার পরও বিজেপি সরকারের জোট সঙ্গী থেকে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সংবিধানে বর্ণিত জনগণের ধারণাকে সরিয়ে কে নাগরিক-কে নাগরিক না, এই রাজনীতি সে‌ সময় থেকে চালু করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। আজকের এসআইআর তারই ফলাফল।”
সেলিম বলেন, “ভোট দেন জনগণ। সংবিধানেও বলা হয়েছে, আমরা ভারতের জনগণ। নাগরিক বলা হয়নি। 
২০০২ সংশোধন হয়েছিল ভোটার তালিকা। এসব নাগরিকত্বের প্রশ্ন আসেনি।”    সেলিম বলেন, “জ্যোতিবাবু বলেছিলেন যে বিজেপি অসভ্য বর্বর। আর মমতা বিজেপিকে জন্মগত বন্ধু বলেছিল।” 
সেলিম বলেন, “এখানে মসজিদের উদ্বোধনের নামে রাজনীতি হচ্ছে। আর ওড়িশায় এরাজ্যের ছেলেকে বাংলাদেশী বলে আক্রমণ করছে।” 
লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গে বলেন, “অধীর চৌধুরী এবং মহম্মদ সেলিমকে হারানো হয়েছে। আমরা হেরেছি কিন্তু হারিয়ে যাইনি। যখন বাঁধের জমি, জঙ্গলের জমি সব কেড়ে নিচ্ছে আমরা প্রতিরোধে নেমেছি। মনে রাখা ভালো লুটের রাজনীতি থেকে কেউ ছাড় পাচ্ছে না, তার ধর্ম যা-ই হোক। 
সেলিম মনে করিয়ে দেন যে রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশ মেনে বামফ্রন্ট সরকার এরাজ্যে ওবিসি তালিকায় সংখ্যালঘুদের নিয়ে এসেছিল। তৃণমূলের বেনিয়মে যা নিয়ে আদালত শংসাপত্র বাতিল করেছে।
সেলিম বলেন, “ওয়াকফের বেলায় অনেকে মনে করেছিলেন মমতা আছে, কুছ পরোয়া নেহি। তারপর মমতা সরকার নির্দেশিকা দিয়ে ওয়াকফ সম্পত্তি কেন্দ্রীয় পোর্টালে তোলার চিঠি পাঠিয়েছে।” সেলিম বলেন, “ পরোয়া আছে। তবে তা ধর্মের না, ভোটের।”

Comments :0

Login to leave a comment