প্রথমে টসে জিতে বোলিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ইনিংসের শুরুতে কিছুটা বেকায়দায় পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেন জো রুট। তাঁর ১৫৩ রানের ইনিংসে ভর করেই কিছুটা নিশ্চয়তা পায় ইংল্যান্ড। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে হ্যারি ব্রুক করেন ১৮৬ রান। ৪৩৫ রানে নিজেদের ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন বৃটিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের হাতে তখনও ২ উইকেট ছিল।
অপরদিকে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৪ উইকেট নেন ম্যাট হেনরি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধে করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক টিম সাউদির ৭৩ রান ছাড়া কোনও ব্যাটার ক্রিজে বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ২০৯ রানেই শেষ হয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৪টি উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড। এছাড়া তিনটি করে উইকেট পান জেমস অ্যান্ডারসন এবং জ্যাক লিচ। ২২৭ রানে এগিয়ে থাকায় নিউজিল্যান্ডকে দিয়ে ‘ফলো অন’ করানোর সিদ্ধান্ত নেন বেন স্টোকস।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই ছন্দে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপ। দুই ওপেনার ল্যাথাম এবং ডেভিড কনওয়ে ৮৩ এবং ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। এর পাশাপাশি উইলিয়ামসনের ১৩২ রান, ড্যারিল মিচেলের ৫৪ এবং টম ব্লান্ডেলের ৯০ রানের সুবাদে ৪৮৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে জ্যাক লিচ একাই নেন ৫ উইকেট।
ম্যাচ এবং ইনিংস জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে হত ২৫৬ রান। কিন্তু জো রুটের ৯৫ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানকে বেশিক্ষণ ক্রীজে টিকতে দেননি নিউজিল্যান্ড বোলাররা। বিধ্বংসী বোলিং করেন নেইল ওয়াগনার। নেন ৪টি উইকেট। অধিনায়ক সাউদি নেন ৩টি উইকেট। দুটি উইকেট পান ম্যাট হেনরি।
যদিও ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকসের ৩৩ রান এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বেন ফোকসের ৩৫ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালায় ইংল্যান্ড। কিন্তু টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে শেষ হাসি হাসে নিউজিল্যান্ডই। শেষ উইকেটে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডর প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। কিন্তু ওয়াগনারের বলে ব্লান্ডেলের হাতে তালুবন্দী হন জেমস অ্যান্ডারসন। তারফলে ২৫৬ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস।
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন কেন উইলিয়ামসন এবং সিরিজের সেরা নির্বাচিত হ্যারি ব্রুক।
Comments :0