Joseph Stalin Paul Robson

প্রিয় কমরেড, তোমাকে...

সম্পাদকীয় বিভাগ

আজ যোশেফ স্তালিনের জন্মদিবস। সেই উপলক্ষে স্তালিনের মৃত্যুর পরে গায়ক ও  মানবতাবাদী পল রবসনের শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রকাশ করা হলো
কমরেড স্তালিনের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য
 

মানুষের অভিজ্ঞতার নি‍‌রিখে সভ্যতার সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী ছাপ লক্ষ্য করা যায় একটি দেশের/জা‍‌তির লোকসংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, লোকসঙ্গীতের, কাব্যের মাঝে। সেইসব লোকসংস্কৃতিতে বর্ণিত নায়ক/নায়িকারা সাধারণত সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বড় বড় চরিত্রের অনুকরণে হন, যাঁদের সহজেই চিহ্নিত করা যায়। রুশ, চীনা বা আফ্রিকার লোকসংস্কৃতিতে সাধারণভাবে এমনই ঘটে।
১৯৩৭-এর এক বিকেল; মস্কো শহরের বলশয় থিয়েটার হল, আশপাশের শহরতলি থেকে জড়ো হওয়া এক বিশাল শ্রোতৃমণ্ডলী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন স্বনামধন্য তামারা খানুমের নেতৃ‍ত্বে উজ‍‌বেক জাতীয় থিয়েটার দলের একটি সুন্দর পরিবেশন উপ‍‌ভোগ করার জন্য। এই শ্রোতাদের মধ্যে শ্রমিক, কৃষক, শিল্পী ও তরুণ-তরুণীদের ভিড় ছিল মূলত। এক সুবিশাল বাদকদলের সমৃদ্ধ, ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মেলবন্ধনে বাঁধা ঐ পরিবেশক গোষ্ঠী। মুসোরগস্কি, চাইকোভস্কি, প্রোকোফি‍‌য়েভ, শোস্তাকোভিচ, ক্রেনিকোভ, গ্লিয়ের-এর মতো শিল্পীদের দ্বারা সমৃদ্ধ ঐহিত্যময় সঙ্গীতের সাথে উজবেকি‌য় অসাধারণ সুরমূর্ছনার মিলনে ওই পরিবেশন নিশ্চিতভাবেই চূড়ান্ত হৃদয়গ্রাহী ও উত্তেজক হয়ে উঠবে-এই ভেবেই সবাই শিহরিত হচ্ছিলাম। বিশেষ করে ওই উজবেকিয় সুর এক অতিপ্রাচীন এবং গর্বিত সভ্যতার বাহক।
সহসা ওই বিশাল শ্রোতৃ‍মণ্ডলী প্রত্যেকে উঠে দাঁড়ালো। গোটা হল হাততালিতে ফেটে পড়ল। তারা উল্লাস করতে লাগল, হাসিতে খুশিতে উচ্ছ্বাসে তারা ফে‍‌টে পড়ল। ছোটরা আন্দোলিত হয়ে অভিবাদন জানাতে লাগল।


মঞ্চের দক্ষিণ কোণে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেই মহান নেতা স্তালিন! হাসিমুখে সমস্ত শ্রোতৃমণ্ডলীকে এবং মঞ্চে থাকা কলাকুশলীদের অভিবাদন গ্রহণ করছেন, অভিবাদন জানাচ্ছেন।
আমার হৃদয় আন্দোলিত হলো, আমার দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগল নীরবে। আমার সামনে দাঁড়িয়ে এমন একজন মানুষ যিনি স্পষ্টত সকলকে একসূত্রে বেঁধে ফেললেন, যেন আলিঙ্গনে আবদ্ধ করলেন। কী অসামান্য হৃদয়স্পর্শী উষ্ণতা, নিশ্চয়তা তাঁর ওই তাকানোর মধ্যে-আমৃত্যু ভুলতে পারবো না।
যেন এক মহীরুহ আশ্রয় দিচ্ছে, ছায়া দিচ্ছে উপস্থিত সকলকে। সারা দুনিয়া, বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক দুনিয়া চূড়ান্ত ভাগ্যবান এমন একজন ভালো মানুষ, প্রাজ্ঞ মানুষের প্রতিনিয়ত অভিভাবকত্ব পাচ্ছে। আমি আমার পুত্র, জুনিয়র পলকে তুলে ধরলাম এই বিশ্বনেতা, জননেতা, এই পথদ্রষ্টাকে অভিবাদন জানানোর জন্য। পল জুনিয়র কিছুদিন আগেই মস্কোতে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল।
ক্রমে অনুষ্ঠান শুরু হলো। প্রতিটি পরতে সে ব্যক্তিগত হোক, বা সম্মিলিত, সে কণ্ঠসঙ্গীত হোক, বা বাদ্যসঙ্গীত, লোকসঙ্গীত, ধ্রুপদী-অসামান্য অকৃত্রিম সে পরিবেশনা, যেন প্রাণের উৎস থেকে সুর ছ‍‌ড়িয়ে সমস্ত শ্রোতাকে মোহাবিষ্ট করে তুলছে। ভাবতে অবাক লাগে, কিছু বছর আগে, এমনকি ১৯০০-১৯১৫তেও এই শিল্পীরা ভূমিদাস হয়ে বেঁচে থাকত। স্বৈরাচারী জারের শাসনে তাদের এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাংস্কৃতিক প্রকাশ—সকল কছুই হারিয়ে গিয়েছিল, বিস্মৃত হয়েছিল।
জাতীয়তাবাদী মোড়কে সমাজতান্ত্রিক বক্তব্য, বিষয়বস্তু ভরা এক সুন্দর সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সাক্ষী হয়ে রইলাম। একদল মানুষকে দেখলাম, যারা এশিয়ার লোকদলগুলির তুল্য; কিংবা আ‍‌ফ্রিকার গর্বিত ইউরোবাভাষী বা বাসুতো সম্প্রদায়ের মতো।


কিন্তু এদের জীবন গত বিশ বছরে সমাজতন্ত্রের হাত ধরে এক নতুন পথে প্রবাহিত, প্রস্ফুটিত হয়ে চলেছে। আর এই আলোর পথযাত্রীদের সামনে আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখিয়ে চলেছেন, কমরেড লেনিন, কমরেড স্তালিন। জাতীয় ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের (উজবেকরাও সংখ্যালঘু) সর্বধরনের উন্নয়নের জন্য এবং সংখ্যাগুরু রুশেদের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও বজায় রাখার জন্য যোশেফ স্তালিন অসামান্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন।
পরে যখন আমি বিভিন্ন দেশে যাই-স্বচক্ষে দেখেছি ওই তথাকথিত অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া মানুষদের কী দুরবস্থা, দেশে দেশে পশ্চিম ইউরোপে ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পর্তুগাল, হল্যান্ড —এসব দেশে আফ্রিকা, ভারতবর্ষসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষদের কি চূড়ান্তভাবে নিচু করে রাখা হতো, প্রায় দাসত্বের পর্যায়ে! বোধ হয় কয়েক শতাব্দী পার হয়ে যাবে ঔপনিবেশিক মানসিকতা কাটিয়ে পশ্চিম ইউরোপের ওই উন্নাসিক দেশগুলির আধুনিক সভ্যতায় পা রাখতে। অপরপক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক পটভূমিতে ইয়াকুট, নেনেতস, কিরগিজ, তাজিকদের মতো সংখ্যালঘু গোষ্ঠীরা সসম্মানে এবং অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে উন্নতি ক‍‌রেছিল, তাদের এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল সর্বক্ষেত্রে মর্যাদা সহকারেই। কোনও ফাঁপা প্রতিশ্রুতি নয়, আমেরিকার মতো প্রতিনিয়ত জাতি/বর্ণবিদ্বেষী বিদ্রূপাত্মক কথা, ছড়া, ব্যঙ্গ নয়। পি‍‌‍ছি‍‌য়ে থাকা মানুষদের, সংখ্যালঘুদের কাজের মধ্যে দিয়ে তুলে আনার এক সারিতে বসানোর চেষ্টা। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে উজবেকিস্তানের মরুভূমিতে একরের পর একর জমিতে সফলভাবে তুলো চাষ করা। আমার অনেকদিনের বন্ধু মিঃ গো‍‌ল্ডেন, তাস্কেজি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী কার্ভার সাহেবের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই মরুভূমিতে তুলো চাষে আগ্রহী ভূমিকা পালন করেন। ওর মেয়েকে আমি দেখেছি ১৯৪৯-এ। বড় হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, নিজেকে সোভিয়েত নাগরিক বলতে গর্ববোধ করে।
বর্তমানে কোরিয়ায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, দক্ষিণ আমেরিকায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজে, মধ্যপ্রাচ্যে এবং সর্বোপরি আফ্রিকায় শত শত কোটি মানুষ, দীর্ঘদিন ধরে যারা পশ্চিমী দেশগুলির উপনিবেশ হয়ে থেকে শোষিত, অত্যাচারিত, স্বীয় সম্পদ ভোগে বঞ্চিত, তারা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, স্বাধীনতার জন্য, মুক্তির জন্য লড়াই করছে। তারা সাহসী, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আত্মবলিদানে প্রস্তুত। স্বাধীনতার, মুক্তির লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার আগে তারা মুহূর্তকালও বিশ্রাম নিতে রাজি নয়।
আর এর উলটো মেরুতে তথাকথিত মুক্ত, আধুনিক, পশ্চিমী জোট, যাদের নেতৃত্বে আছে লোভী, মুনাফা‍‌খোর, যুদ্ধবাজ শিল্পপতি এবং অস্ত্রব্যবসায়ীর দল এবং স‍‌ঙ্গে আমার দেশ আমেরিকার ধনকুবেরের দল এরা সকলে জোট বেঁধেছে। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আধিপত্যের কুহকিনী নেশা তাদের অন্ধ করে দিয়েছে। তারা ভুলে যাচ্ছে, এটা ‘‘আ‍‌মে‍‌রিকার শতাব্দী’’ নয়, আমরা এখন মানুষের শতাব্দীতে পৌঁছে গেছি। তাদের অজান্তে আধিপত্যবাদকে টপকে ‘‘সভ্যতা’’ অনেক এগিয়ে গেছে। পূর্ব ইউরোপের এবং গোটা পৃথিবীর আকাশে এখন তারার দল ঝিকমিক করে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
ওইসব উপনিবেশগুলির শোষিত মানুষের দল ক্রমশ সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে শিখতে চাইছে-মহামতি স্তালিনের নেতৃত্ব কীভাবে এক জাদুদণ্ডের ছোঁয়ায় কোটি কোটি সোভিয়েতবাসীকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে, আলোরদিকে এগিয়ে দিয়েছে। ক্রমে সোভি‌য়েত ইউনিয়নের এই অসামান্য অগ্রগতিকে আদর্শ করে মাও জে দঙ-এর নেতৃত্বে চীনও সমাজতান্ত্রিক পথে চলে নিজেকে এক বৃহৎ শক্তিতে পরিণত করছে।
তারা এও দেখছে, এক সময়ের পূর্ব ইউরোপের আধা ঔপনি‍‌বেশিক রাষ্ট্রগুলি, যেখানকার মানুষ শোষণ, দারিদ্রের কবলে পড়েছিল, তারাও কেমনভাবে নিজেদের ভাগ্যকে নিজেরাই গড়ে তুলছে। সেখানে ক্রমশ গণতান্ত্রিক সরকার এবং মানুষের হাতে ক্ষমতা এসেছে। এই সকল দেশগুলির এই অসাধারণ উন্নতি, অগ্রগতির পথে আ‍‌লোকবর্তিকা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গরিবের/সাধারণের বন্ধু যোশেফ স্তালিনের অসামান্য নেতৃত্ব ও পরিচালনা, যা সঠিক তত্ত্ব ও বাস্তবতার মেলবন্ধনে ভরা।
আর এই জন্যই ওই গায়ক ও বাদ্যকরের দল গানে গল্পে স্তালিনের জয়গান গয়েছে, তারা স্তালিনের জয়গান গাইছে, এবং চিরকালই গাইবে। তাঁর নাম সকল দেশে যু‍‌গে যুগে ভালোবাসার সঙ্গে, শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হবে।


আধুনিক জীবনের সর্বস্তরে অত্যন্ত গভীরভাবে, বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রগু‍‌লিতে স্তালিনের এই উন্নয়নমুখী প্রভাব পৌঁছে গেছে। তাঁর শেষের দিকের অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এবং সহজ ভাষায় লেখা প্রবন্ধগুলি পড়লে বোঝা যায় আমাদের সমাজের বিজ্ঞানের অগ্রগতির ক্ষেত্রে তার অমূল্য অবদান।
মানবসভ্যতাকে বর্তমানক্ষেত্রে এবং আগামীদিনের জন্য যথাযথ রূপদানের ক্ষেত্রে মার্কস, এ‍‌ঙ্গেলস, লেনিন ও স্তালিন যে সর্বশ্রেষ্ঠ অবদানকারী-এ বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশই নেই।
হ্যাঁ, তাঁর সাধারণ গরিব মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা, তাঁর প্রগাঢ় বৌদ্ধিক ক্ষমতা দ্বারা ‍‌তিনি আমাদের জন্য এক অত্যন্ত সমৃদ্ধ গগনচুম্বী ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা তিনি মানবজীবনের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য পথনির্দেশ করে গেছেন।
তিনি বিশ্বশান্তির পথ দেখিয়েছেন।
তিনি বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের পথ দেখিয়েছেন।
তিনি বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবদানগুলি নিয়ে পারস্পরিক আদান-প্রদানের দিক নির্দেশ করে গেছেন।
তিনি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ বন্ধের উপায় গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন।
অপরিসীম ধৈর্য, গভীর ইচ্ছাশক্তি এবং কোটি কোটি সাধারণ গ‍‌রিবগুর্বো মানুষের প্রতি হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসার উপর ভর করে ঐ মানুষটি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন— মানব‍‌জীবনের প্রয়োজনীয় সম্পদটুকুর (অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিজ্ঞান) ব্যবস্থা এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।
তাই, আজ দুনিয়াজুড়ে শত শত কোটি মানুষ তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। তারা মাথা নত করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। কিন্তু, তিনি এটা জানতেন, আর বলেও গেছেন- মানবজীবনের সংগ্রামের শেষ নেই। ধনতান্ত্রিক, ব্যক্তিকেন্দ্রিক, মুনাফা‍‌লোভী দুনিয়ার অত্যাচার, শোষণ, লুটতরাজের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বার্থের লড়াই যুগে যুগে, দেশে দেশে চলতেই থাকবে।
তাই, এই মহান মানুষটির আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে-আসুন, আমরা ধীরে, কিন্তু আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে, দৃপ্তভাবে, মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাই লড়াইয়ের পথে-বিশ্বশান্তির জন্য, সমৃদ্ধির জন্য সকল মানুষের সুন্দর জীবনের জন্য।


প্রগতিশীল গীতিকার লুইস অ্যালানের উদ্দীপক গানের পঙ্‌ক্তিগুলি তাই আবার বলি...
‘‘প্রিয় কমরেড তোমাকে বলছি,
শপথ নিচ্ছি- কোনও ক্ষুদ্রস্বার্থ/ব্যক্তিস্বার্থ থাকবে না
লড়াই জা‍‌‍‌রি থাকবে, লড়াই জারি থাকবেই।
তুমি এবার শান্তিতে ঘুমাও কমরেড,
আমাদের তো এবার পথচলা শুরু হলো।
সংগ্রাম চলতেই থাকবে কমরেড;
মানুষের মুক্তির সংগ্রাম-চল‍‌তেই থাকবে।
যতক্ষণ না আমরা জিতছি,
যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা জিতছি।’’
অনুবাদ : লাল্টু বিশ্বাস
 

Comments :0

Login to leave a comment