SFI

বিকল্প শিক্ষা নীতি প্রকাশ করলো এসএফআই

রাজ্য

শিক্ষার গুরুত্ব, শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধার করার স্লোগান তুলে খসড়া বিকল্প শিক্ষানীতি প্রকাশ করলো এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। সোমবার এসএফআইয়ের রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিকল্প শিক্ষানীতি প্রকাশ করে এসএফআই রাজ্য নেতৃত্ব। 

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘বিভিন্ন রিপোর্ট বলছে গোটা দেশে স্কুলমুখি পড়ুয়ার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩৭ লক্ষ। আমাদের রাজ্য তার থেকে কোন ভাবে ব্যাতিক্রম নয়। করোনা পরবর্তী সময় থেকেই এই রাজ্যে ড্রপ আউট বাড়ছে। এই বিকল্প শিক্ষানীতিতে বলা আছে কি ভাবে ছেলে মেয়েদের ফের স্কুল মুখি করা যাবে।’

ছাত্র নেতৃত্বের কথায়, মোদী সরকারের আমলে দেশের সংবিধান আক্রান্ত। ভারত ভাবনা আক্রান্ত। তাই এসএফআইয়ের বিকল্প শিক্ষানীতিতে বলা আছে স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ এবং ভারত ভাবনা ও দেশ গঠনের মতো বিষয় নিয়ে বিশেষ পাঠক্রম তৈরি করার কথা। এছাড়া বামফ্রন্ট সরকারের সময় থাকা জীবন শৈলীর ক্লাস, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ পাঠক্রম তৈরির কথাও বলা আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লোক সংস্কৃতি কেন্দ্র তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিকল্প শিক্ষানীতিতে।

গোটা দেশে ৫৭ শতাংশ স্কুলে কম্পিউটার রয়েছে, ৫৪ শতাংশ স্কুলে রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এই প্রসঙ্গ টেনে দেবাঞ্জন বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইড স্পষ্ট। যার ফলে ড্রপ আউট বাড়ছে। এসএফআই দাবি করছে প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াই ফাই রাখতে হবে। তার সাথে মনোবিদ রাখতে হবে।’ 

শুধু ড্রপ আউট নয়। শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় রাজ্যের একাধিক স্কুলে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত বেড়ে চলেছে। ১৫০ জন পড়ুয়া পিছু শিক্ষক সংখ্যা এক। আবার কোন কোন প্রাথমিক স্কুলে একজন শিক্ষককেই সব দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এসএফআইয়ের দাবি তাদের এই বিকল্প শিক্ষানীতি মাধ্যমিক স্তরে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত নামিয়ে আনবে ১২:১ এ এবং উচ্চ-শিক্ষায় এই সংখ্যা হবে ১৫:১।

এসএফআই নেতৃত্বের কথায় শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক, শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে এই শিক্ষানীতি তারা তৈরি করেছে। রাজ্যের প্রতিটা জেলায় এই শিক্ষানীতি পৌছে দেওয়া হবে। অভিভাবক, ছাত্রদের কাছে পৌছে দেওয়া হবে এই বিকল্প শিক্ষানীতি। 

এসএফআই রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘চলতি মাসের শেষের দিকে আমরা বিকাশ ভবনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী হাতে এই বিকল্প শিক্ষানীতি তুলে দিয়ে আসবো। সরকার মুখে জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধীতা করেছিল, কিন্তু আরএসএস বিজেপির পেসক্রিপশান মেনে এখানে পিপিপি মডেল চালু করেছে। রাজ্য সরকারের যাদের সাথে কথা বলে শিক্ষানীতি তৈরি করা উচিত ছিল তারা তা করেনি। এসএফআই সেই দায়িত্ব পালন করেছে।’’    

Comments :0

Login to leave a comment