Doluakhaki

দলুয়াখাকিতে ত্রাণ নিয়ে গেলো এসএফআই

রাজ্য

দলুয়াখাকি গ্রামের আক্রান্তদের জন্য ত্রান নিয়ে ঢুকলো এসএফআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। গত সোমবার তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হওয়ার পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় দলুয়াখাকি গ্রাম। বাড়ি ঘর হারিয়ে দক্ষিণ বারাসাতের সিপিআই(এম)’র দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেয় আক্রান্তরা। এর মধ্যে ছিলেন একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আলিমা খাতুন। বই খাতা পুড়ে গিয়েছে তার। কিন্তু তাও মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় বসছেন তিনি।

এদিন প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে জয়নগরের পাঁচপোতা মোড়ে আটকানো হয় এসএফআইয়ের প্রতিনিধি দলকে। পুলিশের যুক্তি ছিল কোন রাজনৈতিক ব্যানার নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করা যাবে না। এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গতকাল জয়নগরের বিধায়ক যখন দলীয় কর্মীদের নিয়ে পতাকা নিয়ে মিটিং করলো তখন পুলিশ বাঁধা দিল না। যেই আমরা যাচ্ছি ওমনি বাঁধা দিচ্ছে। তবে আমরা জানিয়েছি আমরা আদালতের নির্দেশকে অমান্য করবো না।’’

এসএফআই নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দলুয়াখাকির আক্রান্ত মানুষের পাশাপাশি বই খাতা নষ্ট হয়ে যাওয়া পড়ুয়াদের পাশেও তারা থাকবে। তাদের লেখা পড়ার যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই দিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে নজর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এসএফআই সূত্রে খবর আলিমা সহ ওই গ্রামের পড়ুয়াদের পাঠ্য বই সংগঠনের পক্ষ থেকে জোগার করা হয়েছে।

রবিবার সিপিআই(এম)’র একটি প্রতিনিধি দল দলুয়াখাকি গ্রামের ত্রান নিয়ে গেলে তাদের পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জি এই বিষয় হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিসন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্শন করলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে পাঁচ জন গ্রামের যেতে পারবেন ত্রান নিয়ে। তবে সেখানে গিয়ে কোন রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া যাবে না।

জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে সিপিআই(এম) কর্মী, সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর, লুট, আগুন লাগানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত ৩ জনই দলুয়াখাকি গ্রামে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। ঘটনার সাত দিন পর প্রবল চাপের মুখে পড়ে রবিবার রাতে জয়নগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত আকবর ঢালি, আমানুল্লাহ জমাদার, নজরুল মণ্ডল নামে ওই ৩ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা সহ মোট ৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। বাকিরা গ্রামে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের কাছে এখনো অধরা। ধৃতদের বারুইপুর আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদেরকে ৩ দিন পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন।  

Comments :0

Login to leave a comment