পূজা বোস : চন্দননগর
‘ধর্মের নামে রাজনীতি, সবচেয়ে বড় দুর্নীতি’ হুগলীর চন্দননগরের সভা থেকে বললেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা কোনও আনুষ্ঠানিকতা নয়। এই যাত্রা শ্রমজীবী মানুষের। এই পনেরো বছরের তৃণমুলের বাংলা শাসনের অভিজ্ঞতা অসহনীয়। বর্তমান বাংলাতে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ সঠিকভাবে বাঁচতে পারছে না। ইতিহাস বলছে বাংলা একদিন সবথেকে বেশি এগিয়েছিল। এই সরকার বাংলাকে পেছনের সারিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। স্কুলগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। সরকার শিক্ষার দায়িত্ব নিতে রাজি নয়। সিপিআই(এম) শিক্ষার প্রসারের জন্য ১২ ক্লাস পর্যন্ত বিনা খরচায় পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিল, আর ওরা সব কিছু প্রাইভেট করে দিচ্ছে। জাতির মেরুদণ্ড যে যুবরা তাঁদেরও আজ কাজ নেই। সিঙ্গুরের শিল্প বন্ধ করে যে সরকার ক্ষমতায় এসেছিল তাঁরা বলুক এই ১৫ বছরে কি শিল্প গড়ে উঠেছে বাংলায়? প্রত্যেক বছর খরচ করে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন শিল্পের সম্মেলন করেছেন কিন্তু কটা বিনিয়োগ হয়েছে রাজ্যে?’
বেকারত্বের সমস্যার কথা তুলে ধরে শ্রীদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলার তরুণ প্রজন্মের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। এরাজ্যে কাজ নেই বলে ওদের কেরালায় অন্য রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যাচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক বেড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। মা, বোনেদের নিরাপত্তা নেই। মা বোনেদের সথে অন্যায় হলে সিপিআই(এম) সব সময় অপরাধীদের শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আজ বাংলার মা বোনেদের কান্না বাড়ছে কারণ তৃণমুল ধর্ষকদের সহায়তা করছে। কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছে বাংলাকে?’
শ্রীদীপ ভট্টাচার্য্য আরও বলেন, ‘সিপিআই(এম) ৩৪ বছর প্রশাসন চালিয়েছে, দুজন মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ দেখাতে পারেননি বর্তমান মূখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ওনার দলের কি অবস্থা, আজ মোদীর আশীর্বাদ না থাকলে মমতা - ভাইপো দুজনেই জেলে থাকতো তা সবারই জানা। তৃণমুলের সাথে আমাদের পার্থক্য এটাই। বামপন্থা মানে সততা, সমস্ত সম্প্রদায়ের উন্নয়ন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বলি ধর্ম যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আর ওরা ধর্মের নামে বিভাজন চালিয়ে যাচ্ছে। যখন বাংলার অশিক্ষা, বেকারি নিয়ে জবাব চাওয়া হচ্ছে তার জবাব দিতে না পেরে ওরা ধর্মের রাজনীতি করে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ধর্মের নামে রাজনীতি হলো সবচেয়ে বড় দূর্নীতি।’
Comments :0