বিহারে ক্ষমতায় এলো প্রতি পরিবারের একজন করে সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী দাবি করেছেন সরকার গঠনের ২০ দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তেজস্বী বলেন, ‘বিহারের প্রতিটা বাড়িতে সরকারি চাকরি করা ব্যাক্তি থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘বিহারের মানুষ জানতে চায় আমরা কোন পদ্ধতি বিহারকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবো। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে যারা বিহার শাসন করছেন তারা বেকারত্বের সমস্যাকে কোন গুরুত্ব দেয়নি।
বিজেপি এবং জেডিইউকে নিশানা করে বিহারের বিরোধী দলনেতা বলেন, ওরা কর্মসংস্থানের কোন দীশা দেখাচ্ছে না, উল্টে বেকারদের জন্য ভাতা চালু করছে। তিনি বলেন, ‘বিহারের যেই যেই পরিবারে সরকারি কর্মচারি নেই সেই পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। নতুন বিধানসভা গঠন হওয়ার ২০ দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবং ২০ মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ন হবে।’
তেজস্বীর কথায় তাদের এই প্রতিশ্রুতি কোন ‘জুমলা’ নয়। ইন্ডিয়া মঞ্চের দল গুলো জানিয়েছেন বিহারের মানুষকে সামাজিক সুরক্ষার পাশাপাশি, অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চায়।
উল্লেখ্য বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কর্মসংস্থা নিয়ে কোন প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে সামনে রেখেই নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছে ইন্ডিয়া।
আগামী ৬ এবং ১১ নভেম্বর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। ফল প্রকাশ হবে ১৪ নভেম্বর।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার বিশেষ সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। সরব হয় বিরোধীরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার বিশেষ সমীক্ষাকে হাতিয়ার করে রাজ্যের বিজেপি জোটের সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে ইন্ডিয়া মঞ্চ। ৯ জুলাই বিহারের নির্বাচন কমিশন দপ্তর অভিযান করেন বিরোধীরা। মিছিলে ছিলেন রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদব, সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি, সিপিআই(এম-এল) সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা সহ ইন্ডিয়া নেতৃত্ব।
Bihar
বিহারের প্রতিটা পরিবারে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি তেজস্বীর

×
Comments :0