মণ্ডা মিঠাই | নতুনপাতা
বড়দিনের আলোকে বিজ্ঞানের বরপুত্র স্যার আইজ্যাক নিউটন
ঋষিরাজ দাশ
বিগত সংখ্যার পর
১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক ডিগ্রি লাভের প্রাক্কালে নিউটনের তাঁর বিখ্যাত দ্বিপদী উপপাদ্য বিষয়ক সূত্র প্রমাণ করেন এবং একই সাথে ফ্লাক্সিয়নের পদ্ধতি(method of fluxion) আবিষ্কার বিষয়ে প্রথম তত্ত্ব প্রদান করেন। ট্রিনিটি কলেজের এই দিনগুলো তাঁর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মূলত রসায়ন এবং আলোকবিজ্ঞান বিষয়ের উপর বিভিন্ন পরীক্ষণ চালিয়ে যেতে থাকেন এবং একইসাথে চলতে থাকে তাঁর গাণিতিক অনূদধ্যনের প্রকল্পসমূহ। নিউটন তাঁর মহাকর্ষ তত্ত্ব আবিষ্কার বিষয়ক দিনপঞ্জির সূচনা চিহ্নিত করেছিলেন এই ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দকে, যে বছর তাকে ট্রিনিটি কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হয়।
এ সময় তিনি ধারণা করেন এই একই বল অন্যান্য সকল কক্ষীয় গতির জন্য দায়ী আর তাই এর নাম দেন “সর্বজনীন মহাকর্ষ” । অপরদিকে উইলিয়াম স্টাকলি নামক অপর একজন সমসাময়িক লেখক তাঁর “মেমোরিজ অফ স্যার আইজ্যাক নিউটন্স লাইফ” নামক গ্রন্থে ১৭২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই এপ্রিল কেনিংস্টনে নিউটনের সাথে তাঁর একটি বাক্যালাপের বর্ণনা দেন। এই বাক্যালাপের এক পর্যায়ে নিউটন বলেন যে, “মহাকর্ষ নিয়ে তিনি আগে থেকেই চিন্তিত ছিলেন। এমন সময় বাগানে গবেষণার মুড নিয়ে বসে থাকার সময় গাছ থেকে একটি আপেল মাটিতে পতিত হয়। আপেলটি কেন সব সময় অভিলম্ব বরাবর মাটির দিকে পতিত হয়, তিনি নিজের মনে চিন্তা করেন। কেন পাশে বা উপর দিকে যায় না, সবসময়ই কেন পৃথিবীর কেন্দ্রের দিক বরাবর পতিত হয়।” একই ধরনের বাক্যের সমাবেশে ভলতেয়ার তার “Essay on epic poetry”(1727) নামাক প্রবন্ধ লিখেছেন, “আইজ্যাক নিউটন যখন তাঁর বাগানে হাটছিলেন, তখন গাছ থেকে একটি আপেলকে মাটিতে পড়তে দেখে প্রথম মহাকর্ষ পদ্ধতির সম্বন্ধে তাঁর বোধদয় হয়।” এই বণর্না গুলো সম্ভবত কিছুটা অতিরঞ্জিত কারণ নিউটনের নিজের বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি উলসথর্প ম্যানরে তাঁর নিজের বাড়ির জানালার কাছে বসে ছিলেন। এমন সময় জানলা দিয়ে গাছ থেকে একটি আপেল তিনি মাটিতে পড়তে দেখেন।
সপ্তম শ্রেণী
কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠ খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
মজুমদার ভিলা, কল্যাণ নগর, খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
চলবে
Comments :0