এবার সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ খারিজ করা করেছেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সুরাটের একটি একটি নিম্ন আদালতের রায়ের ভিত্তিতে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়েছে।
সরকারি নোটিশে রাহুল গান্ধীকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে তুঘলক লেনের বাংলো খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এদিন, সোমবার, রাহুলের বহিষ্কার এবং আদানি-প্রধানমন্ত্রী সংযোগে তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। গণতন্ত্রকে হত্যা করার প্রতিবাদে প্রতীকি কালো পোশাক পরেন বিরোধীরা। সংসদভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত পদযাত্রাও করেন।
কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র নাসির হুসেইন বলেছেন, ‘‘বাংলো ছাড়ার নোটিশ আসলে বিরোধী স্বর স্তব্ধ করার আরেকটি পদক্ষেপ। বিরোধী স্বর স্তব্ধ করার চেষ্টাতেই রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সুরাটের আদালত রাহুল গান্ধীকে ৩০ দিন সময় দিয়েছে। কিন্তু সরকারের পরামর্শে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সদস্যপদ কেড়ে নিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ।’’
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে আরেকধাপ এগিয়ে সরব হয়েছেন। বিজয় চকে তিনি বলেছেন, ‘‘কর্ণাটকের কোলারে রাহুল গান্ধী ভাষণ দিয়েছিলেন। তা নিয়ে মানহানির মামলা গুজরাটের সুরাটে দায়ের হলো কেন?’’
খারগে পরপর প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি প্রশ্ন থেকে বাঁচতে চাইছেন। কিভাবে আদানির সম্পদ মোদীর মেয়াদে কয়েকগুন বেড়ে গেল? বিদেশে মোদী যতবার গিয়েছেন ততবারই তাঁর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিরা বড় বড় বরাত পেলেন কিভাবে? ঘনিষ্ঠ কোন কোন শিল্পপতি তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন?’’
খারগে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারের মনোভাব নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘‘এতই যদি স্বচ্ছ প্রধানমন্ত্রী, তা’হলে বিজেপি আদানিকাণ্ডে যৌথ সংসদীয় তদন্তে ভয় পাচ্ছে কেন?’’
নাসির হুসেইন বাংলো ছাড়ার নোটিশ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘রাহুল গান্ধী জেড ক্যাটেগরি সুরক্ষার আওতায়। তাঁকে সময় দেওয়া উচিত যাতে সুরক্ষা বিধি অনুযায়ী তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা যায়।’’
Comments :0