Panchayet

পঞ্চায়েতে বিকল্প ভাবনা: মমতা তখন বিজেপি’র শরিক

সম্পাদকীয় বিভাগ

চন্দন দাস

মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো যাচ্ছিলেন কেশপুর। গত ৩ ফেব্রুয়ারি। গাড়ি থামিয়ে তিনি নেমে পড়লেন একটি গ্রামে — মাতকাতপুরে। জায়গাটি খড়গপুর-১নং ব্লকের অন্তর্গত। তিনি কথা বললেন। তিনি জানলেন। কী জানলেন? সেই গ্রামের কয়েকটি পরিবার জমির পাট্টা পায়নি। তিনি ‘স্পটে’ নির্দেশ দিলেন। তারপর? কয়েকদিন পরেই ক্যাম্প বসল গ্রামে। পাট্টা দেওয়া শুরু হলো। ‘ধন্য অভিষেক’ বোঝাতে বেশ কিছুটা সময় খরচ হলো চ্যানেলগুলির। 
কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেল— তাহলে গত ১২ বছর তাঁর পিসির সরকার, ভূমি সংস্কার দপ্তর করলো কী? রাজ্যের প্রায় সব পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে। সেই পঞ্চায়েত ১০ বছর কী করলো?
খাস জমি চিহ্নিত করে পাট্টা দেওয়ার কাজ মূলত পঞ্চায়েত সমিতির। বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে এই কাজ সেই সমিতিগুলির নির্বাচিত সদস্যরাই করেছে। ফল কী হয়েছিল? সেই ‘৩৪ বছরে’ রাজ্যে প্রায় ১৪ লক্ষ ৪ হাজার ৯১ একরের বেশি জমি খাস হয়েছে— সারা দেশের ২০ শতাংশের বেশি। অথচ সারা দেশের কৃষি জমির মাত্র ৩ শতাংশের অধিকারী পশ্চিমবঙ্গ। দেশের ৫৪ শতাংশের বেশি পাট্টাদার এই রাজ্যের বাসিন্দা। আদিবাসী, তফসিলি জাতি, সংখ্যালঘু এবং সাধারণ— সব অংশের মানুষ পাট্টা পেয়েছিলেন। জমির অধিকার পেয়েছিলেন মহিলারাও। তার জন্য সিপিআই(এম)’র কোনও নেতা, মন্ত্রীকে গাড়ি হাঁকিয়ে গ্রামে পৌঁছে নির্দেশ দিতে হয়নি। 
কারণ— ওটা পঞ্চায়েতের কাজ। পঞ্চায়েত গ্রামের সরকার, কোনও হঠাৎ ধনী হয়ে ওঠা প্রভাবশালী পরিবারের ইচ্ছায় গ্রামের চলার কথাই নয়। জমিদারদের আমলে চলত। বামফ্রন্ট সেই ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছিল।


অভিষেক ব্যানার্জির আচরণ প্রমাণ করেছে গত ১২ বছরে তাঁর পিসির সরকার এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা— কেউ কোথাও কিছু করেনি। পঞ্চায়েত একটি নিষ্ক্রিয় সংস্থায় পরিণত হয়েছে।
অথচ ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের ইশ্‌তেহারে মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন— ‘পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় সততা, স্বচ্ছতা’ আনবেন। এবং ‘ভূমিসংস্কারের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হবে, ভূমিহীনদের জমি দেওয়া হবে।’
‘ভূমিসংস্কারের অসম্পূর্ণ কাজ’ একটি বড় বিষয়। তা এই ব্যবস্থায় পুরোটা করা কঠিন। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি চালু আইনের মধ্যে জমি বণ্টনের কাজটিই করেননি। তাই তিনি কী লিখেছিলেন মনে করিয়ে দিতে হবে। তবে মুখোশ খোলা যাবে গাড়ি থামিয়ে হঠাৎ গ্রামে নেমে পাট্টা দেওয়ার ‘পপুলিজম’-র।
গ্রাম মমতা-শাসনের ১২ বছরের কী পেয়েছে?
গ্রামের আর্থিক অবস্থা এবং ‘গ্রামের সরকার’-র সম্পর্ক গভীর। সেই ‘গ্রামের সরকার’ অর্থাৎ পঞ্চায়েতের নির্বাচন আসছে। চলতি বছরে হওয়ার কথা। কয়েক মাসের মধ্যে হওয়ার কথা। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন মূলত এই হিসাব মেলানোর ময়দান।
এখন পেঁয়াজ, আলুর দাম নেই মাঠে। কৃষক কোনও ফসলেরই দাম পাচ্ছেন না। খেতমজুর কাজ পাচ্ছেন না। পরিযায়ীরা সংখ্যায় অনেক। তাঁদের বেশিরভাগের ঠিকানা গ্রামবাংলা। এই রাজ্যের গ্রামের গরিব, মধ্যবিত্তর ঘরের ছেলেমেয়ের কাজ হলো না— মাঠে অথবা কারখানায়। 
অথচ মমতা ব্যানার্জির কথা ছিল কৃষিতে ‘শ্বেত বিপ্লব’ করবেন। কৃষকের আয় বাড়বে। ফসলের ন্যায্য দাম মিলবে। চাকরি হবে— রাশি রাশি।
আমাদের সামনে মারাত্মক সমস্যা হিসাবে ফণা তুলেছে দুর্নীতি। পঞ্চায়েতে চুরি। লুট— বলাই যথাযথ। গত প্রায় ১২ বছরে রাজ্যের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদগুলি চালানোর নামে দু’হাতে লুট করেছে তৃণমূল। দুর্নীতি নিঃসন্দেহে একটি বড় ইস্যু। ‘চোর তাড়াতে’ হবে। জনগণের পঞ্চায়েত গড়তে হবে। কিন্তু গ্রামের অর্থনীতির হাল ফেরানোর সঙ্গে ‘চোর তাড়ানো’-র সম্পর্ক আছে। আর্থিক হাল ফেরাতে গ্রামের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের এটিই প্রধান লক্ষ্য।


সেই সূত্রেই ফিরতে হবে ২০০৩-এ। ‘উন্নততর পঞ্চায়েত গড়ে তোলো’ স্লোগান সেই সময়কালের। অনেক বিভ্রান্ত, অরাজনৈতিক মনোভাবে আচ্ছন্ন ব্যক্তি, সংগঠন বামফ্রন্টের ‘উন্নততর পঞ্চায়েত’-র স্লোগানকে বিদ্রূপ করেন। ভুল করেন।
আজ অনেক দূরের মনে হতে পারে। কিন্তু বিকল্পের ভাবনায় আজও সেই স্লোগানের পরিপ্রেক্ষিতই বিচারের দাবি রাখে। ভূমিসংস্কারের হাত ধরেই পঞ্চায়েত গড়ে তুলেছিল বামফ্রন্ট। গ্রামের মজে যাওয়া অর্থনীতিতে জোয়ার এসেছিল। গ্রামে বিরাট বাজার সৃষ্টি হয়েছিল। ‘গ্রামের মানুষের হাতে কিছু টাকা এসেছে’ বুঝে কলকাতা থেকে প্রবল বামফ্রন্ট-বিরোধী খবরের কাগজ বাংলায় ছাপানো শুরু হয়েছিল। অন্তত দুটি। সহজ অর্থনীতির নিয়ম মেনে। শিক্ষারও প্রসার ঘটেছিল। গ্রাম বিকাশের পরিকল্পনার একটি বড় অংশ গ্রামের মানুষের হাতে তুলে দিয়ে গণতন্ত্র প্রসারিত করেছিল বামফ্রন্ট। এই বিকাশ নির্দিষ্ট একটি স্তরে পৌঁছেছিল যখন, তখন দরকার হয়েছিল গ্রামের অর্থনীতির ভরকেন্দ্রের কিছুটা বদল। ২০০৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল সেই পরিপ্রেক্ষিত।
কুড়ি বছর পরেও প্রসঙ্গটি আজও প্রাসঙ্গিক। কারণ আগামীর ঠিকানা সেই স্লোগানে রয়ে গেছে।
মমতা ব্যানার্জি তখন কেন্দ্রের বিজেপি জোট সরকারের শরিক। ২০০৩ সাল। মাত্র একবছর আগে স্বাধীনোত্তর ভারতের জঘন্যতম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পটভূমি হয়েছিল গুজরাট। রাজ্যে সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তবু বিজেপি’র সঙ্গে জোট গড়েই বামফ্রন্টের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তাছাড়া কামতাপুরীদের সঙ্গে তৃণমূলের জোট ছিল। জঙ্গলমহলে জনযুদ্ধ, এমসিসি তখন তৃণমূলের সহযোগী হিসাবে সিপিআই(এম) কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ যখন সম্ভাবনার সদর দরজায় কড়া নাড়ে, তৃণমূল আর বিজেপি বরাবর তখন হাত ধরাধরি করে পিছন থেকে ছুরি নিয়ে হাজির হয়। তবে সেবার ওরা ডাহা ফেল করেছিল।
সেই সময়ে গড়ে তুলতে হবে ‘উন্নততর পঞ্চায়েত’— আহ্বানটি এলো। বামফ্রন্ট তাদের নির্বাচনী ইশ্‌তেহারে সেই আহ্বান জানিয়েছিল। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তখন বিমান বসু। সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক তখন কমরেড অনিল বিশ্বাস।
তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কাছে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল ‘উন্নততর পঞ্চায়েত বলতে আপনারা কী বোঝাতে চাইছেন?’
ভূমিসংস্কার, ফসল উৎপাদনে অগ্রগতির তথ্য উল্লেখ করে সেদিন ভট্টাচার্য বলেছিলেন,‘‘পঞ্চায়েত যে কৃষিনীতি কার্যকর করেছে, যে ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে।...আমরা বলছি এই সাফল্যকে সংহত করুন।’’ আর? তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,‘‘গ্রামে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামে গরিবের হাতে আরও বাড়তি পয়সা।...এই হচ্ছে একটা স্তর থেকে আর একটা স্তরে যাওয়া। উন্নততর স্তরে যাওয়া।’’
সেই সময়ে বামফ্রন্ট তাদের ইশ্‌তেহারে লিখল —‘খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করে কৃষির আরও বৈচিত্রকরণ, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিকাশ, বনসৃজন, কৃষিপণ্য বিপণন ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ আর কী লিখেছিল? ‘গ্রামীণ ও ক্ষুদ্রশিল্প প্রসারের উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতকে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত করা হবে।’
কেন?


কারণ— কৃষিতে কাজের সুযোগ কমছিল। কেন্দ্রীয় সরকারগুলির আর্থিক নীতির কারণে চাষে লাভ ক্রমাগত কমছিল। জোত ছোট হচ্ছিল স্বাভাবিক কারণেই। আবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্যর মতো ক্ষেত্রের আরও প্রসারে শুধু মাত্র রাজ্য সরকারের দপ্তর, বিভাগগুলির তৎপরতাই যথেষ্ট থাকছিল না।
ফলে ‘গ্রামের সরকার’-কে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। তাই ‘উন্নততর পঞ্চায়েত’ লক্ষ্য হিসাবে গৃহীত হয়।
সেদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন কৃষি ভিত্তিক শিল্প নিয়ে। তাঁর আরও কথা ছিল,‘‘পঞ্চায়েতের যে আরও অনেক কাজ রয়েছে। যেমন গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ। পানীয় জল, রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এসব কিছুই পঞ্চায়েতের কার্যকলাপের মধ্যে আসছে।’’ অর্থাৎ যে পঞ্চায়েত ভূমিসংস্কারের অনুঘটক, যে পঞ্চায়েত ফসল উৎপাদন বাড়ানোর কান্ডারি, সেই পঞ্চায়েতই কৃষিভিত্তিক শিল্পগড়ার কারিগর হবে। গ্রামীণ শিল্প থেকে শিক্ষা, বিদ্যুতায়ন, স্বাস্থ্য — পঞ্চায়েতের পরিসর বাড়ানোই ছিল লক্ষ্য।
পশ্চিমবঙ্গের তখন কী অবস্থায় ছিল?
খাদ্যশস্য উৎপাদনে দেশে প্রথম। মাথাপিছু খাদ্যশস্য গ্রহণের বৃদ্ধির হারেও প্রথম। গ্রামের মানুষ বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি শিল্পপণ্য কেনেন। বছরে তা তখন ১০% হারে বাড়ছে। স্বল্প সঞ্চয়েও রাজ্য তখন প্রথম। জাতীয় নমুনা সমীক্ষা (২০০০-’০২)-র তথ্য অনুসারে রাজ্যে তখনই ক্ষুদ্রশিল্পের সংখ্যা ২৭লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি। সেগুলিতে কর্মরত প্রায় ৫৮লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ।
২০০১-০২ থেকে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত আর এক বিকাশের অপেক্ষায় ছিল। কৃষিতে কাজ কমছিল। দরকার ছিল ছোট, মাঝারি, বড় শিল্পের। পঞ্চায়েতের ভূমিকা ছাড়া রাজ্যে শিল্প এবং কাজের সুযোগ বৃদ্ধি সম্ভব ছিল না। সেই সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে পঞ্চায়েতকে লুটের আখড়ায় পরিণত করতে চেয়েছিল তৃণমূল এবং তাদের সহযোগী বিজেপি সহ অন্যান্যরা। 
সূর্য মিশ্র কী লিখেছিলেন? ২০০৭-এ মার্কসবাদী পথ পত্রিকায় তাঁর একটি প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল ‘পশ্চিমবঙ্গে কৃষি বিকাশের প্রশ্নটি কী?’ সেখানে ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সংগ্রাম’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাজ্যের তৎকালীন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী লিখেছিলেন,‘‘কেবল কৃষির বিকাশের ভিত্তিতে শিল্পায়নের প্রশ্নই নয়। সব দিক থেকে বিবেচনা করলে প্রশ্নটি এখন কৃষক ও কৃষির স্বার্থেই শিল্পায়নের প্রশ্ন। ভূমিসংস্কার ও পঞ্চায়েতের ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে কৃষি ক্ষেত্রে রাজ্য ও রাজ্যের জনগণ যে সাফল্য অর্জন করেছেন তা বিপদাপন্ন হবে যদি এখনই শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রের বিকাশ শুরু না হয়।’’
অর্থাৎ শিল্পের বিকাশ না হলে ভূমিসংস্কার বিপন্ন হবে। পঞ্চায়েতও বিপন্ন হবে। গ্রামের সম্ভাবনা মরবে। রাজ্যের আশা ধ্বংস হবে।
তাই হয়েছে। মমতা-শাসন তাই করেছে।

 
সেই সময়েই পঞ্চায়েতের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। সেই ‘পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা উন্নয়নের পথনির্দেশিকা’র ৩৬নং পাতায় লেখা হল —‘‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পোন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার যে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার সঙ্গে পঞ্চায়েতের জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা পরিকাঠামো উন্নতিসাধন করবে। পঞ্চায়েত সহায়তা নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে এই কাজ বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের অঙ্গ হিসাবে গ্রহণ করেছে।’’
অর্থাৎ পঞ্চায়েতের কাজ বাড়ছিল। পঞ্চায়েত আরও কাজে যুক্ত হচ্ছিল।
আর এখন? পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরের কাজ মূলত অফিসারদের কবলে। পঞ্চায়েত পথ হারিয়েছে, তার পা আটকে গ্রামের বেহাল অর্থনীতিতে। সে নিষ্ক্রিয়। অপদার্থ। কালীঘাটের ব্যানার্জি বাড়ির ইচ্ছাই পঞ্চায়েত নয়। তাই আশু কাজ পঞ্চায়েতকে সক্রিয় করতে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে। চাই ‘জনগণের পঞ্চায়েত।’ তৃণমূল এবং বিজেপি-কে হারানোর উপর তা নির্ভরশীল। 
তবেই আবার, অদূর ভবিষ্যতে ‘উন্নততর পঞ্চায়েত’-র আহ্বানে পৌঁছাতে পারব আমরা। পৌঁছাতেই হবে।  
 

Comments :0

Login to leave a comment