বেআইনি মদের ব্যবসার প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের তাড়ায় ঘর ছাড়তে হয়েছিল প্রতিবাদীদের! একের পর দুষ্কর্ম চালিয়ে গেছেন দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পুলিশ ও শাসকদলের ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি গ্রামের মানুষ। মদের ব্যবসার ভাগ গেছে শাসকদল ও পুলিশের কাছে।
রবিবার টিশন থেকে ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের শ্লীলতাহানির মুখে পড়ে ওই ছাত্রী। ছুটে যান বাবা। মেয়েকে কোনওরকমে ছাড়াতে পারলেও দুষ্কৃতীদের রোষের মুখে পড়েন। নির্মমভাবে মারা হয় তাঁকে। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি। এরপরই প্রতিবাদে নামেন স্থানীয়রা।
শ্যামপুরে মেয়ের সম্মান বাঁচাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু ঘটনায় এদিন আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে শ্যামপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তের নাম টিটন বাগ ও শান্তনু হাপোর। বুধবার এলাকায় আসেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের সুপার স্বাতী ভাঙালিয়া।
শ্যামপুরের মহিলা, যুব ও কৃষক প্রতিনিধি দল সকালে নিহতের বাড়িতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে সঙ্গে থাকার আশ্বাস দেন। খুনিদের গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সমগ্র শ্যামপুর থানা এলাকায় বেআইনি মদের ঠেক বন্ধের দাবিতে কিছুক্ষণ শ্যামপুর মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের পর মহিলা, যুব ও কৃষক প্রতিনিধিদল শ্যামপুর থানায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
শ্যামপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভানেত্রী জাহানারা খান ও সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ। এদিন এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন দুষ্কৃতীদের প্রশাসনে পরিণত হয়েছে। ফলে এইভাবেই নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে প্রাণ দিতে হল। এটা নাকি বাংলার নিজের মেয়ে রাজ্য! ঘটনার প্রতিবাদে সংগঠনের হাওড়া জেলা কমিটি পরিবারের সাথে দেখা করে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে এবং দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে আগামী ২৭জানুয়ারি শ্যামপুর থানায় যাওয়ার ডাক দিয়েছে। তাঁরা বলেন, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে।
Comments :0