Angel Di Maria

১০ নম্বরের পাশে উজ্জ্বল ১১

খেলা

Angel Di Maria

তিনি এলেন, খেললেন, জয় করলেন। মাঠে যতটা চোখ টানলেন ১০ নম্বর জার্সি, ততটাই ১১ নম্বর। আগের ম্যাচে মাঠে নামেননি। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে বসে উপভোগ করেছিলেন দলের জয়। কোয়াটার ফাইনালে নেমেছিলেন অতিরিক্ত সময়ে। নেমেই নিজের কিছু ঝলক দেখিয়ে ছিলেন। আর আজ ফ্রান্সের ডান দিককে তছনছ করেদিলেন আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় বাঁ পা।


বিশ্বকাপের ফাইনালের প্রথম একাদশে ফিরলেন দলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার এঞ্জেল ডি মারিয়া। চোটের কারণে বিশ্বকাপের নকআউটে খেলতে পারেননি ডি মারিয়া। তবে ফাইনালের আগে প্রথম একাদশে ফিরলেন তিনি। এ বারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই খেলেছেন ডি মারিয়া। তিনি থাকায় আর্জেন্টিনার আক্রমণ অনেক বেশি হচ্ছিল। দুই প্রান্তেই খেলছিলেন তিনি। কিন্তু গ্রুপের শেষ ম্যাচে চোট পান ডি মারিয়া। তাই তাঁকে নকআউটের তিনটি ম্যাচেই প্রথম একাদশে রাখেননি স্কালোনি। দি মারিয়াকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি আর্জেন্টিনার কোচ।

 


সমর্থকরা প্রহর গুণছিলেন মেসির পরে দলের সেরা তারকাকে মাঠে দেখার জন্য। ফাইনালে নেমেই পুষিয়ে দিলেন সমস্ত প্রত্যাশা। ২২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্সে তাঁর পা থেকেই বল কাড়তে গিয়ে ফাউল করে বসেন ডেম্বলে। সেখান থেকেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। আর তারপর ৩৩ মিনিটের মাথায় নিখুঁত লাতিন আমেরিকান ঘরানায় গোল করলেন নিজেই। 


ফাইনালে নিজের দলের হয়ে শেষ গোল করেই দু চোখ ভিজে যায় দি মারিয়ার। শ্রাবণের ধারায় বয়ে চলে আনন্দাশ্রু। মেসির বাড়ানো বল পান আলভেজ। তিনি বল বাড়ান ম্যাক আলিস্টারকে। তাঁর বাড়ানো বল নিপুণ দক্ষতায় জালে জড়িয়ে দেন ডি মারিয়া। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ততক্ষণ চোখ টেনেছিলেন। দলের হয়ে খেলা শেষ ম্যাচের ৬৪ মিনিটে মাঠ ছাড়েন তিনি। একটা সময় মনে হচ্ছিলো ১৯৭০ সালে কোয়াটার ফাইনালে চার্ল্টনকে তুলে খেসারত দিতে হয়েছিলো ইংল্যান্ডকে, সেই ঘটনারই না পুনরাবৃত্তি না হয়। একমাত্র খেলোয়াড় ডি মারিয়া যিনি পাস বাড়িয়েছেন এপ্রজন্মের সেরা মেসি, রোনাল্ডো দুজনকেই।

 


অতিরিক্ত সময়ে নিজের হ্যাট্রিক করে ফ্রান্সকে সমতা ফেরাতে দেখে আবেগ তাড়িত হয়ে কেঁদে ফেলেন ডি মারিয়া। একসময় মনে হচ্ছিলো মাঠের বাইরে থেকেই পাস বাড়াতে চাইছিলেন নিজের প্রিয় জুটিকে। শেষ অব্দি গঞ্জালো মন্টিয়েলের শট জালে জড়াতেই বাঁধ ভাঙে আবেগের। শুধু ডি মারিয়া বা গোটা টিম নয়, মাঠে নেমে আসেন আগুয়েরা সহ সমস্ত আর্জেন্টিনার প্রাক্তনীরা। বাঁধভাঙা উচ্ছাসে ভাসতে শুরু করেন সবাই। বিশ্বকাপ হাতে তোলার আগেই ডি মারিয়াকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন মেসিও। দুজনের বিজয়গর্বে বিদায়ের এই ছবি চিরকালীন হয়ে থেকে যাবে মানুষের মনে।

Comments :0

Login to leave a comment