World Cup Brazil

এবার ব্রাজিলকে দুশ্চিন্তায় ফেলছে ভাইরাস

খেলা

সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জেতার পরই ব্রাজিলের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। পর দিনই গোড়ালির চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন নেইমার। এবার ব্রাজিলকে দুশ্চিন্তায় ফেলছে ভাইরাস। তিনজন ফুটবলার ফ্লু’তে আক্রান্ত। তাঁর মধ্যে দু’জন ফুটবলার প্রথম একাদশের। মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা ও গোলরক্ষক ‌অ্যালিসন বেকার। পাকুয়েতা ঠিকভাবে অনুশীলনই করতে পারেননি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। টিম হোটেলে বন্দী ছিলেন। গত শুক্রবারের অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন অ্যালিসন। অ্যান্টনি বমি অবধি করেছেন। তবে রবিবার অ্যান্টনিকে ব্রাজিলের অনুশীলনে দেখা গিয়েছে। এরকম আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোমবার গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে সেলেকাওরা। যদিও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যালিসনদের খেলতে অসুবিধে হবে না। কতটা ফিট তাঁরা, এই নিয়ে সন্দেহ থাকছেই! 


সুইসদের হারাতে পারলে নিশ্চিত হয়ে যাবে শেষ ষোলো। তাতে চাপ অনেকটাই কমবে। কিন্তু নেই’কে ছাড়া ব্রাজিল কি স্বমহিমায় খেলতে পারবে? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। এর উত্তর পাওয়া যাবে অবশ্য সুইস ম্যাচের পর। তবে এবারের ব্রাজিল অবশ্য নেইমার কেন্দ্রিক নয়। রিচার্লিসন, ভিনসিয়াস জুনিয়র, ক্যাসেমিরোদের কাছে  নিজেদের প্রমাণ করার ম্যাচ। দলের প্রধান ফুটবলারের অনুপস্থিতিতেও ভালো খেলতে পারেন। যা খবর, সুস্থ হয়ে উঠছেন নেইমার। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারছেন। ফোলাও অনেকটাই কমেছে। পরবর্তী ম্যাচ দেরি আছে বেশ কয়েকদিন। ক্যামেরুন ম্যাচের আগে সুস্থ যাওয়ার সম্ভাবনা। নেই’য়ের ছিটকে যাওয়া নিঃসন্দেহে ক্ষতি। মানছেন ক্যাসিমিরো। বাস্তববাদী হতে হবে আমাদের জানিয়েছেন মিডফিল্ড মায়োস্ত্রো। আরও বলেছেন, ‘নেইমার বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। চোট পেলে আর কি করা যাবে! আমাদের দলে অসংখ্য ভালো ফুটবলার আছে। কিন্তু নেমারের অভাব পূরণ করার মতো কেউ নয়। এটা মেনে নিতেই হবে নেইমার আমাদের দলের সেরা তারকা।’ 


তিতের রিজার্ভ বেঞ্চে একাধিক বিকল্প থাকায়, নেইমারের জায়গায় কাকে নামাবেন ভেবে রেখেছেন। রড্রিগো খেলতে পারেন। বা ফ্রেড। নেইমারকে আইডল মেনে বড় হওয়া রড্রিগো বৈচিএ্যপূর্ণ ফুটবলার। উইংয়ে খেলার মতো গতিও রয়েছে। প্রয়োজন সেকেন্ড স্ট্রাইকার হিসেবে খেলে দিতে পারেন। ছোট স্পেসকে কিভাবে কাজে লাগাতে হয়, জানেন ভালো। তাঁকে ভিনসিয়াস, সার্বিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করা রিচার্লিসনের সঙ্গে জুড়ে দিলে, ব্রাজিলের আক্রমণ দাঁড়িয়ে যাবে। এছাড়াও তিতের তূণে রয়েছে আরও দু’জন ফুটবলার। গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি ও গ্র্যাবিয়েল জেসুস। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ছোট্ট ‘গেম টাইম’ পেয়েই প্রভাব ফেলেছেন। বিপক্ষ ডিফেন্সকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা তৈরি। মাঝমাঠে পাকুয়েতার জায়গায় শুরু থেকেই খেলাতে পারেন ফ্রেডকে। সুইৎজারল্যান্ড গা জোয়ারি ফুটবল খেলে। তাই, ব্রাজিলের মাঝমাঠে ক্যাসিমিরোর সঙ্গে ফ্রেডকে দরকার। যিনি বিপক্ষের খেলার তাল কাটতে পারেন, তেমনই সামনে বল সাপ্লাই করতে পারেন। আবার দূরপাল্লার শটেও গোল করতে দক্ষ। ফ্রেড খেললে লোড কমবে ক্যাসিমিরোর উপর থেকে। সার্বিয়ানদের বিরুদ্ধে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি ব্রাজিল ডিফেন্সকে। কিন্তু সুইস দলে রয়েছেন ব্রায়ান এম্বোলো, সেফারোভিচদের মতো স্ট্রাইকার। যাদের থিয়াগো সিলভা, মারকুইনোসদের ব্যতিবস্ত করে রাখার ক্ষমতা রয়েছে। এঁদের নিচ থেকে সাহায্য করবেন গ্রানিট জাকা, জাদরান শাকিরিরা। আরও ব্রাজিলের দুই উইং ব্যাক দুর্বল। সুইসদের দুই উইংয়ের দুই ফুটবলারের গতিশীল। ফলত, সতর্ক থাকতেই হবে সিলভাদের। অপরদিকে, সুইসরা নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জিতেছে। ক্যামেরুনকে হারিয়েছে তাঁরা। গত বিশ্বকাপেও গ্রুপ লিগে ব্রাজিলকে আটকে দিয়েছিল শাকিরিরা। এবারও পয়েন্ট পাওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী সুইৎজারল্যান্ড।

Comments :0

Login to leave a comment