Manikchak Compensation

মানিকচকে গেলেন না মন্ত্রী, সবার ক্ষতিপূরণ দাবি সিপিআই(এম)’র

জেলা

ক্ষতিপূরণের দাবিতে ১৬ মাইলে আন্দোলনে রয়েছে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন।

মানিকচকের ভুতনির চরে বন্যা নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করছেন বলে দাবি করলেন সিপিআই(এম) নেতা দেবজ্যোতি সিনহা। 
সিনহা বলেন, "আব্দুর রহিম বক্সি বলেছেন রিং বাঁধ ভেঙেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ২০২০ সাল থেকে আমার বাঁধ মেরামতির কথা বলেছিলাম। বাঁধ আগেই মেরামতির হলে এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতো না।" 
তিনি আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, "সেচ দফতর সুখা মরশুমে কাজ করে না। বৃষ্টির সময় এদের কাজের কথা মনে পরে।
বাঁধ মেরামতির জন্য বালির বস্তাতেও দুর্নীতি করে এরা।"

শনিবার মালদহে এসেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন জেলার তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়করা। ভাঙ্গন ও বন্যা দেখতে মালদহে এলেও মানিকচকের বন্যা ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় যান নি। তাঁরা গিয়েছিলেন গোপালপুর এলাকা ছাড়াও ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাথে কথা বলতে যান ভুতনী ব্রীজে ও মডেল স্কুলে। কথা বলার সাথে সাথে ত্রাণ সামগ্রী বিলিও করেন। তবে তাঁরা বন্যা ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় যান নি। তবে ত্রাণ বিলিও শান্তি পূর্ণ হয়নি। ত্রাণ সামগ্রীর পরিমাণ ও বন্ধের পদ্ধতিতে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের মধ্যেযে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় তাতে তাঁরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন।
সিপিআই(এম) মানিকচকের পক্ষ থেকে সিপিআই(এম) নেতা দেবজ্যোতি সিনহা সরকারের কাছে দাবি করে বলেন, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন বন্যা দুর্গত সব পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তৃণমূলের বিধায়ক সাংসদরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা শুধু ছবি তুলতে ও হাত নাড়াতে বন্যা কবলিত এলাকায় ঘুরেছেন। 
তিনি আরও বলেন, বন্যা কবলিত মানুষকে নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় জুনিয়ার চিকিৎসকরা অভয়া ক্লিনিক চালাচ্ছেন এবং পিপলস্ রিলিফ কমিটির তরফেও হেলথ ক্যাম্প করা হবে।

 সি আইটিইউ, কৃষক সভা, খেতমজুর ইউনিয়ন, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, এস এফ আই ও ডিওয়াইএফআই  এর কালিয়াচক-৩ ব্লক কমিটির উদ্যোগে শনিবার ৩৪নং জাতীয় সড়কের পাশে ১৬ মাইলে ৩ দফা দাবিকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হল অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে। যেসব দাবিতে এই কর্মসূচি হয় তার মধ্যে রয়েছে আরজিকরে কর্মরত মহিলা চিকিৎসককে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্ত দোষীদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক কঠোরতম শাস্তি, গঙ্গা নদীর ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা, পুনর্বাসন ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ, বিড়ি শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত মজুরি, পিএফএ প্রদান, সবরকমের শোষণ বন্ধ ও বামফ্রন্ট সরকারের সময়কার সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প ফিরিয়ে আনার দাবিকে সামনে রেখে। 

Comments :0

Login to leave a comment