Tripua vote

ত্রিপুরায় ভোট গণনা বয়কট বামফ্রন্টের

জাতীয়

 ত্রিপুরায় দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের গণনা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য বামফ্রন্ট। বুধবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নারায়ণ কর। এদিকে ত্রিপুরায় দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে, বলেছে  সিপিআই (এম) পলিট ব্যুরো। বুধবার এক বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো দাবি করেছে কঠোরতম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ওই দুই কেন্দ্রে ফের ভোটগ্রহণের। 
মঙ্গলবার ধনপুর এবং বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে অবাধে ছাপ্পা  ভোট পড়েছে। শাসক দল যথেচ্ছ রিগিং করে গেছে। নির্বাচন কমিশন তা রুখতে কোনও ভূমিকাই গ্রহণ করেনি। এমনকি বিরোধীরা ভোট ডাকাতির অসংখ্য অভিযোগ জানানোর পরও কমিশনের কোনও নড়াচড়া নেই। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও পুনর্ভোটের ঘোষণা নেই। নির্বাচন কমিশনের এই ভাবলেশহীন ভূমিকাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বামফ্রন্ট। বুধবার সন্ধ্যা রাতে গণনা বয়কটের ঘোষণা করা হয়। প্রেস বিবৃতিতে বামফ্রন্ট আহ্বায়ক নারায়ণ কর বলেছেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ত্রিপুরা বামফ্রন্ট কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানানো হয়েছিল যে ধনপুর এবং বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটে ব্যাপক রিগিং করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। ভোটের শুরু থেকে বিভিন্ন ঘটনা কমিশনের নজরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক ঘটনা যে এই ব্যাপক মাত্রায় রিগিং রুখতে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপই করা হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে দুই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট বতিল করে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণার দাবি করেছিল ত্রিপুরা বামফ্রন্ট। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই দাবি উত্থাপনের ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও নির্বাচন কমিশনের কোনও হেলদোল নেই। বামফ্রন্ট আহ্বায়ক আরও বলেছেন, এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের অভিপ্রায় পরিষ্কার। এই পরিপ্রেক্ষিতে গণনায় যাওয়ার কী অর্থ  আছে? সে কারণে ৮ সেপ্টেম্বরের ভোট গণনা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট কমিটি।
এদিন সকালে সিপিআই (এম) পলিট ব্যুরোর বিবৃতিতেও লুটের ভোটের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর বক্সনগর এবং ধনপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন রাজ্যের বিজেপি সরকারের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ কারচুপি করা হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। সিপিআই (এম)’র পোলিং এজেন্টদের শারীরিকভাবে বাধা দেওয়া হয় এবং তাদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। সিপিআই (এম)’র মাত্র ১৬ জন পোলিং এজেন্ট বক্সনগরে এবং ১৯ জন পোলিং এজেন্ট ধনপুর কেন্দ্রে নিজেদের বুথে পৌঁছতে পেরেছিল। কিন্তু তাঁদেরও অতিদ্রুত শারীরিকভাবে সন্ত্রস্ত করা হয়, ভয় দেখানো হয় এবং তাড়িয়ে দেওয়া হয় বুথ থেকে। 
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই উপ নির্বাচন একটি প্রহসন, বিবৃতিতে বলেছে পলিট ব্যুরো। 
নির্বাচন কমিশনের কাছে পলিট ব্যুরো দাবি করেছে এই দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাতিল করে কঠোরতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে ফের ভোটগ্রহণের জন্য। যে সমস্ত আধিকারিকরা নির্বাচন কমিশনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেছেন, তাদের নতুন নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। যারা এইধরনের সন্ত্রাস তৈরি করেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে, দাবি জানিয়েছে পলিট ব্যুরো।

 

Comments :0

Login to leave a comment