BADURIA POTATO CYCLONE

বাদুরিয়ায় ৯৫% জমিতে নষ্ট আলুর বীজ

জেলা

আলু চাষের জমিতে জমে জল। বাদুরিয়া প্রবীর দাসের তোলা ছবি।

সমবায়,স্বনির্ভর গোষ্ঠী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন। বাদুড়িয়া ব্লকের শায়েস্তানগর ২গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়া,গন্ধর্বপুর,পিয়ারাসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক এখন বিপন্ন। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে অকাল বর্ষণে ক্ষতির মুখে শীতের সবজি। 
সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রামপ্রসাদ সরদার, অরুণ মজুমদার,প্রশান্ত দাস,কৃষ্ণেন্দু সরকাররা। বাদুড়িয়া ব্লকে মূলত পিয়ারা, গন্ধর্বপুর মৌজার কয়েকশো একর জমিতে জ্যোতি, পোখরাজ, সুপার সিক্স এই তিন প্রজাতির আলু চাষ হয়। 
কৃষকরা জানাচ্ছেন, ‘গতবছর বিঘা প্রতি ৫০কেজির বস্তায় ৮০বস্তা আলু পাওয়া গিয়েছিল। মাঘ মাসের শেষে এই আলু উঠে যায় এবং বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন বাজারে তা চলে যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে ৯৫ শতাংশ জমিতে লাগানো আলুর বীজ সব শেষ।
বাজারে সার বীজের কালোবাজারি সামলে স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে ৪০হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন রামপ্রসাদ সরদার,অরুণ মজুমদাররা। ব্যাঙ্ক থেকে ৬০হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন প্রশান্ত দাস। তিনি জানান, নতুন করে আর আলু চাষের কোনও সম্ভাবনা নেই। ফের জমি প্রস্তুত করতে কম করে কুড়ি দিন লাগবে। যদিও বা জমি প্রস্তুত হলো কিন্তু বীজ কোথায় পাবো ? এবছর আর আলু চাষ হবে না। 
আলুর বীজ উৎপাদনেও এই গ্রামগুলির খ্যাতি আছে। হুগলির জলন্ধর,বালাসুর, গাইঘাটার জলেশ্বর থেকে আলুর বীজ নিয়ে যায়। তাছাড়া বসিরহাটের খোলাপোতার স্টোরে বীজ রাখা হয়। বীজের অভাবে আগামী বছর কী হবে সেই আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে আলুর খেতে জল দাঁড়িয়ে আছে। কৃষকদের অধিকাংশই বছরে বিঘা প্রতি ১৪-১৫ হাজার টাকা আগাম দিয়ে জমি লিজে আলু চাষ করেছিলেন। সরকার যদিও বা ক্ষতিপূরণ দেয় তা জমির আসল মালিক নিয়ে চলে যাবে। 
কৃষকদের দাবি, দ্রুততার সাথে কৃষিদপ্তর,পঞ্চায়েত থেকে সঠিক তদন্ত করে দেখা হোক। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। সঠিক পূর্বাভাস দিলে কয়েকদিন পর না হয় বীজ পুঁততাম। এই সর্বনাশ আটকানো যেত। 

Comments :0

Login to leave a comment