ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়া’পুদুচেরিতে প্রবেশ করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে পৌঁছানোর সাথে সাথে পুদুচেরি বন্দরে সতর্কতা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তামিলনাড়ুতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।  বৃষ্টির জেরে তুতিকোরিন এবং তাঞ্জাভুরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে ময়িলাদুরাইয়ে। গ্রামীণ এলাকায় বহু কাঁচাবাড়ি ভেঙেছে। বহু গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়া‘র প্রভাবে তামিলনাড়ুর বেশ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত। বৃষ্টিপাতজনিত কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রাজ্যের উত্তরাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী পুদুচেরির উপকূলের সমান্তরালে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তামিলনাড়ুর কাবেরী ব-দ্বীপ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রামানাথপুরম এবং নাগপট্টিনাম জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত উপকূলীয় শহর রামেশ্বরম এবং নাগপট্টিনামের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়েছে। তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে এরইমধ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ খবর অনুসারে, ঘূর্ণিঝড়টি প্রায় উত্তর দিকে ৭ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে চেন্নাই ও পুদুচেরির মাঝামাঝি অংশে সমুদ্রের মাঝে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কুড্ডালোর, নাগাপট্টিনাম, মায়িলাদুথুরাই, ভিল্লুপুরম, চেঙ্গালপাট্টু, পুদুক্কোত্তাই, তাঞ্জাভুর, তিরুভারুর, আরিয়ালুর, পেরামবালুর, তিরুচিরাপল্লী, চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর এবং রানিপেট জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি পুদুচেরি এবং কারাইকালের বিচ্ছিন্ন স্থানেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর উপকূলীয় তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
দিতওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারতেও সতর্কতা জারি হয়েছে। তামিলনাড়ুতে স্কুল-কলেজ বন্ধ, বহু বিমানের উড়ান বাতিল, সামুদ্রিক ট্রেন পরিষেবা স্থগিত। উপকূলবর্তী এলাকায় বাসিন্দা সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। 
“দিতওয়া শ্রীলঙ্কা ছেড়ে ভারত উপকূলের দিকে এগোচ্ছে।” এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর অথুলা করুনানায়েকে। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’র হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৩৩৩। নিখোঁজ অনেকে। দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় প্রকৃত ক্ষতির রিমাণ আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা।