Lok Sabha Election 2024

লাল ঝান্ডার মিছিলে হাঁটলেন সেই শুভ্রজিতের মা

রাজ্য লোকসভা ২০২৪

বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল কর নিচ্ছে পৌরসভা। জঞ্জাল অপসারণ হয় না। রাস্তায় যত্রতত্র জঞ্জাল পরে থাকে। জঞ্জালের গন্ধে বাড়িতে বসবাস করতে অসুবিধা হয়। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এখানে একটা বড় জলাশয় ছিল। পৌরসভার নোংরা দিয়ে সেই জলাশয় ভরাট করে দিয়েছে। এই জমি বিক্রি হয়ে গেছে। মানুষ বাড়ি করলে সেই বাড়ি হেলে পড়ছে। এখানে জলনিকাশী ব্যাবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। উওর বারাকপুর পৌরসভাকে মানুষ জঞ্জালের পৌরসভা আখ্যা দিয়েছে। এই পৌরসভার সর্বত্রই জঞ্জালের পাহাড়। সিপিআই(এম) প্রার্থী দেবদূত ঘোষের মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে পূর্বাশার বাসিন্দা অমিয় সরকার একথা বলেন।
এদিন দেবদূত ঘোষের সঙ্গে মিছিলে হেঁটছেন ইছাপুরের আনন্দমঠ এলাকার বাসিন্দা শ্রাবনী চ্যাটার্জী। কাঁধে লাল ঝান্ডা নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তিনি বলেন আমার ছেলে শুভ্রজিত চ্যাটার্জী চারটে সরকারি হাসপাতাল ঘুরে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। এরপর আমার ছেলের মুখ দেখতে আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে হয়েছে। চার বছর পার হয়েছে। ছেলের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। কোর্ট এর লড়াই থেকে রাস্তার লড়াই দুই লড়াইতে আমি নেমেছি। আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই। এই সরকার অমানবিক। এই অমানবিক সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে একজোট হতে হবে।
বৃহস্পতিবার ইছাপুর মায়াপল্লী থেকে সিপিআই(এম) প্রার্থী দেবদূত ঘোষকে নিয়ে মিছিল শুরু হয়। এই এলাকা তৃণমূলের দুস্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল। এককথায় সন্ত্রাসের আঁতুরঘর। তৃণমূলের ভোটলুট এই এলাকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই এলাকায় সিপিআই(এম)’র নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্ধোধন করেন প্রার্থী দেবদূত ঘোষ। ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চ্যাটার্জী, জেলা কমিটির সদস্য সুবীর মৌলিক, রুনু ব্যানার্জী সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। এদিন অগনিত মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। ফুল ,মালা পড়িয়ে প্রার্থীকে বরণ করে নেন। মায়াপল্লীর বাসিন্দা মিনতি দাস বলেন এবারে সকাল সকাল ভোট দিতে যাবো। এবার ভোট লুট রুখতে আমরা এককাট্টা হচ্ছি।  প্রচার মিছিল মায়াপল্লী, বিধানপল্লী, চড়কতলা, প্রান্তিক, ইন্দ্রপুরী ব্রিকফিল্ড হয়ে আনন্দমঠ চড়কতলা গিয়ে শেষ হয়। 
ইন্দ্রপুরী ব্রীকফিল্ড এলাকায় জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। এখানেও রাস্তার দুধারে জঞ্জালের পাহাড়। জল নিস্কাশনের ব্যাবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। ব্রীকফিল্ড এলাকার  শ্রমিকরা খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। তাদের বসবাস এর জায়গায় কোনো শৌচালয় নেই। তাদের রাস্তার ধারে গিয়ে প্রাকৃতিক ক্রিয়াকর্ম করতে হয়। সেই শ্রমিকরা রাস্তায় বেরিয়ে এসে দেবদূত ঘোষের দিকে মুষ্টিবদ্ধ হাত করে সমর্থনের বার্তা দিয়েছেন।

Comments :0

Login to leave a comment