মাথাদের ধরা হোক। বিচারের দাবিতে এই দাবি তুলছেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারও। রবিবার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে একথা জানিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরাই।
আরজি কর হাসপাতালে ৮ আগস্ট রাতে ডিউটিতে ছিলেন এই মহিলা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসক। শুক্রবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ মিলেছে হাসপাতালেরই এমারজেন্সির সেমিনার কক্ষে। তীব্র প্রতিবাদ চলছে সারা রাজ্যে, প্রতিবাদ চলছে দেশেও। সেই সঙ্গে দাবি উঠেছে হাসপাতালে এমন দুষ্কৃতীচক্রের মাথা কারা, কাদের মদতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে একাংশ, ধরতে হবে তাদের।
প্রথমে আত্মহত্যার কথা শোনা গেলেও প্রতিবাদের মুখে খুন এবং ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ধৃত সিভিল ভলান্টিয়ারকে হেপাজতে রাখা হয়েছে। রবিবার নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) মুরলিধর শর্মা। সংবাদমাধ্যমে তাঁর দাবি, সততা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের প্রাথমিক তথ্য জানানো হয়েছে পরিবারকে। দেওয়া হয়েছে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট। পরিবারের বক্তব্যও নোট করা হয়েছে।
চিকিৎসকের পরিবার প্রশ্ন তুলেছে যে রাতে ডিউটি থাকলেও বিশ্রাম নেওয়ার ঘর ছিল না কেন। জানিয়েছেন, বিচারের দাবিতে আন্দোলনের সঙ্গে আছেন। আরও জানিয়েছেন যে শুক্রবার হাসপাতাল থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পরিচয় দিয়ে ফোনে বলা হয়েছিল যে তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
হাসাপাতালে হাসপাতালে অব্যবস্থার ছবি ফুটে বেরিয়েছে পরিবারের বক্তব্যে। তাঁরা জানিয়েছেন, চিকিৎসা করতে চাইলেও মেয়েকে তা করতে দেওয়া হতো না। সিনিয়ররা সহযোগিতা করতেন না। চাপ থাকত খুব। হাসপাতালে যেতে পর্যন্ত চাইতেন না স্নাতকোত্তর পাঠরত চিকিৎসক।
এদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদলও। শুনেছেন পরিবারের কথা। বিচার পাওয়ার লড়াইয়ে শামিল থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।
RG KAR DOCTOR FAMILY
মাথাদের ধরার দাবি নিহত চিকিৎসকের পরিবারেরও
×
Comments :0