পারিবারিক কলহের জেরে একই পরিবারের পাঁচজনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল বিহারের ভাগলপুর পুলিশ লাইনে। মঙ্গলবার পুলিশ লাইনের ৩৮ নম্বর কোয়ার্টার থেকে পুলিশ দম্পতি সহ পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃত দম্পতির নাম নিতু কুমারী ও পঙ্কজ কুমার। নিতু ভাগলপুরের পুলিশ সুপারের দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। এদিকে, স্বামী পঙ্কজও একজন পুলিশকর্মী ছিলেন। এদিন পুলিশ দম্পতি সহ তাঁদের দুই শিশু সন্তান এবং নিতুর শাশুড়ি মনোরমা দেবীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরকীয়া সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অনেকদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সোমবার এই বিবাদ চরমে ওঠে। পুলিশ লাইনে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা পুলিশ মহলে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঘটনাস্থলে ডিআইজি, এসএসপি, সিটি এসপি, সিটি ডিএসপি, ডিএসপি সহ বহু আধিকারিকরা রয়েছেন।
ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ, কাউকে সামনে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে। যেখানে মহিলা কনস্টেবলের স্বামী খুনের কথা স্বীকার করেছেন। কনস্টেবলের স্ত্রী, দুই সন্তান ও মাকে হত্যার পর ওই যুবক নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে লেখা রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
পুলিশ জানিয়েছে কনস্টেবল নীতু কুমারী, তাঁর দুই সন্তান এবং শাশুড়ির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। চারজনেরই গলা কেটে ফেলা হয়েছে। যেখানে নীতুর স্বামীর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভাগলপুর পুলিশ রেঞ্জের ডিআইজি বিবেকানন্দ জানিয়েছেন, নিহতের পরিজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। মৃত মহিলা কনস্টেবল নীতু কুমারী ২০১৫ ব্যাচের। জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। সোমবার সন্ধ্যায়ও দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট স্বামীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
Murder In Bihar's Bhagalpur
একই পরিবারের পাঁচজনের দেহে উদ্ধার, চাঞ্চল্য ভাগলপুরে
×
Comments :0