আবাস তাবুর নিচে। তীব্র গরমেও নিস্তার নেই। বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে বোমায়। চারদিকের খাবারের অভাব। তার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নিতে চলছিল ফুটবল ম্যাচ। গাজার খান ইউনিসের সেই স্কুল মাঠে খেলার মধ্যেই আছড়ে পড়ল ক্ষেপণাস্ত্র। নিহত অন্তত ২৯।
তীব্র ধিক্কারে প্যালেস্তাইন কেবল নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তে উঠেছে দাবি- ইজরায়েলকে খেলার মাঠের বাইরে রাখতে হবে। বয়কট করতে হবে সর্বত্র। আবেদনে বলা হচ্ছে, ইউরো আর কোপার যুগলবন্দির মাঝে ফুটবল মাঠে এই নির্মমতাকে ভুলে যাবেন না, ক্ষমা করবেন না। ক্ষমা করবেন না ইজরায়েলকে, তার সাগরেদদের।
‘আল জাজিরা’ সংবাদমাধ্যম ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেছে। একটি লম্বা পাসের পিছনে দৌড়ে হাল ছেড়ে দিচ্ছে এক পক্ষের ফুটবলার। আরেক পক্ষের নবীন গোলরক্ষকের হাতে জমা পড়েছে বল। বল ছুঁড়ে মাঠে পাঠাতেই বিকট আোয়াজ। সমস্বরে আর্তনাদ- ‘হামলা’, ‘ফের হামলা হয়েছে’।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ক্ষেপণাস্তের আঘাতের নিহতদের বড় অংশ কিশোররা। তারাই ভিড় করেছিল মাঠে, তারাই খেলছিল ফুটবল।
ইজরায়েল এখন হুমকির সুরে গাজার সব বাসিন্দাকে, এমনকি, তাবু খাটানো আবাসও ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে আন্তর্জাতিক আদালত, কোনওকিছুর তোয়াক্কা না করে গণহত্যা চলছে প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে।
গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশে আবসসান এলাকায় যখন হামলার ঠিক আগেও ভিড়ের মধ্যে ফেরি করছিলেন হকাররা। বিশ্বের সব ফুটবল মাঠের পরিচিত দৃশ্য ছিল এখানেও। তারপরই হানার বীভৎস ছবি বুঝিয়ে দিয়েছে কেন গাজা বিশ্বের আর পাঁচ জায়গার চেয়ে আলাদা।
এক মহিলা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘ওরা খেলা দেখছিল। আমরা বেশ দূরে ছিলাম। ওরা আনন্দ করছিল। উৎসাহ দিচ্ছিল খেলোয়াড়দের, ওদের বন্ধুদের। তারপর বিকট আওয়াজে আমরা যে যেদিকে পেরেছি ছুটেছি। ধোঁয়া খানিক ফিকে হতেই দেখেছি চারদিকে ছড়িয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ।’’
Comments :0