CHOPRA NAUSHAD SIDDIQUI

মাফিয়ারা জ্বালিয়েছে শিশুদের বইপত্রও, নেই খাবার, চোপড়ার চা বাগানে যৌথ রান্নাঘর চালুর ঘোষণা নৌশাদের

জেলা

চা বাগানের শ্রমিকদের ওপর চলেছে গুলি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়ি। শিশুদের বইপত্রও রেহাই পায়নি। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সব।

পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। তবু চোপড়া ব্লকের হপ্তিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের পিয়ারিলাল চাবাগানে ক্ষতিগ্রস্ আদিবাসীদের পাশে নেই প্রশাসন। শনিবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক এবং আইএসএফ নেতা নৌশাদ সিদ্দিকি। 

বিধায়ককে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আদিবাসী মহিলারা। মহিলাদের অসহয়তা দেখতে পেয়ে কার্যত ভেঙে পড়েন বিধায়ক। 

বিধায়কের কাছে আদিবাসীরা মহিলারা জানিয়েছেন, চা বাগানের জমি মাফিয়ারা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। মাফিয়ারা তাদের উপর গুলি চালায়। গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরপর জমি মাফিয়ারা তাঁদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের পড়ার বইপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ায় তাঁদের খাওয়ার জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

গত সোমবার, ২১ আগস্ট, এই ঘটনার পরও প্রশাসন পাশে দাঁড়ায়নি। চরম কষ্টে দিন যাপন করছেন। বর্ষার মরশুমে বাড়িঘর না থাকায় অনাহারে অর্ধাহারে অন্যের বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন। ছোট ছোট শিশুরা খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি করলেও তাদের মুখে তারা খাবার তুলে দিতে পারছেন না। 

বিধায়ক আদিবাসীদের এই অসহায়তার কথা শুনে কার্যত ভেঙে পড়েন। তিনি রান্নাঘর চালু করার কথা ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পাঁচ দিন কেটে যাবার পরও সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়ানোয় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

নৌশাদের দাবি, আদিবাসী পরিবারগুলিকে সহায়তা দিতে হবে সরকারকে। দুষ্কৃতীদের শাস্তি দিতে হবে।

 

 

বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি চোপড়ার সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ব্যঙ্গের সুরে বলেছেন, নৌশাদ সিদ্দিকি দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে বের হননি। তাই তিনি চোপড়ায় ঘুরতে এসেছেন। কিন্তু এমন মন্তব্যে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ। এত মারাত্মক হামলার পর আদিবাসী পাশে নেই তৃণমূল নিজেই।

Comments :0

Login to leave a comment