RG KAR MURDER

আরজি করে হত্যায় অভিযুক্তের ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজত

রাজ্য

শনিবার প্রতিবাদে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রছাত্রীরা।

আরজি করের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় দাসের ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি হাসপাতালের কর্মী নয়। কিন্তু নিয়মিত বিভিন্ন কাজের জন্য হাসপাতালের ভিতরে অবাধ যাতায়াত ছিল তার। 
জানা গেছে একটি ব্লু-টুথ হেড ফোনের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতেই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। টালা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, দফায় দফায় জেরার পর বয়ানে অসঙ্গতির সূত্র ধরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, ধৃত ব্যক্তি একা নয়, তার সঙ্গে আরও কয়েকজন থাকতে পারে।
আরজি কর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটিতে ছিলেন নিহত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলায় সেমিনার হল থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। অবিন্যস্ত ছিল তাঁর পোশাক। শোয়ানো ছিল মেঝেতে কার্পেটে। রক্তাক্ত ছিল তাঁর দেহ।
সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত হয়। তাতে ধর্ষণ করে খুনের ইঙ্গিতই মিলেছে। অন্তত দশ জায়গায় গুরুতর আঘাত পাওয়া যায় ময়না তদন্তে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি, চেস্ট বিভাগের চিকিৎসক ওই তরুণীর দেহে ১০ জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। দুটি চোখ, মুখ, ঠোঁট, আঙুলের নখ, বাঁদিকের পা,  পেট, বাঁদিকের গোড়ালি, ডান হাত, গোপনাঙ্গ সহ ১০টি জায়গায় আঘাত মিলেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার রাতেই খুনের মামলা রুজু করে লালবাজার। এই ঘটনার রাতে নিহত তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন, যাঁরা ওই বিল্ডিং’র বা তার আশেপাশে ছিলেন তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে কথা না বলে দেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। শুক্রবার রাতেই তার বিরুদ্ধে আরজি কর হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই। শনিবার শ্যামবাজারে চলছে বিক্ষোভ। রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভে নেমেছেন চিকিৎসক, ছাতরছাত্রীরা।

Comments :0

Login to leave a comment