KALATAN DASGUPTA

‘তিলোত্তমা হারবে না, কলতান থামবে না‘, বিক্ষোভ থানায় থানায়

রাজ্য

রবিবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় বিক্ষোভ।

যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা জাল ‘প্রমাণ’ যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত করতে হবে।
এই দাবিতেই রাজ্যজুড়ে থানায় থানায় চলছে বিক্ষোভ। স্লোগানে, ব্যানারে লেখা হয়েছে: ‘তিলোত্তমা হারবে না, কলতান থামবে না।’
শনিবার সকালে ডিওয়াইএফআই’র মুখপত্র ‘যুবশক্তি’-র সম্পাদক কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঠিক আগের দিনই তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একটি অডিও টেপ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে হামলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। পরদিনই কলতানকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগরের পুলিশ দাবি করে অন্য এক যুবকের সঙ্গে হামলার জন্য কথা বলেছেন কলতান। তাঁরই কন্ঠস্বর পাওয়া গিয়েছে। অথচ দ্রুত প্রমাণ কিভাবে জোগার হলো, কলতানের কন্ঠস্বরের নমুনা পর্যন্ত না নিয়ে, তার ব্যাখ্যা পুলিশ দেয়নি। 

আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় বিক্ষোভ কলকাতায়।

কলতানের মুক্তির দাবিতে ডেবরা থানায় অবস্থান বিক্ষোভ চালায় ডিওয়াইএফআই। যুব নেতানেত্রীরা বলেন, তৃণমূল সরকারের সময়ে সব দুর্নীতি অপকর্মে বারবার জড়িত থাকতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। আর জি কর কাণ্ডেও নথি লোপাট থেকে অপরাধীদের আড়ালে নেমেছে পুলিশ। সেই পুলিশই প্রতিবাদীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে। তাদের জেলে ঢোকাচ্ছে।
সিপিআই(এম) এবং ছাত্র-যুব-মহিলারা বলেছেন ধর্ষণ-হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ থেকে নজর ঘোরাতেই এই ষড়যন্ত্র। কলতানের সঙ্গে যাদবপুরের হালতু এলাকার এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, এই যুবকের সঙ্গে হয়েছিল কথোপকথন। স্থানীয়রাই জানিয়েছেন ধৃত সেই সঞ্জীব দাস বামপন্থী তো নয়ই, বরং তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। বিজেপি’র লোকজনের সঙ্গেও ওঠাবসা করতে দেখা গিয়েছে। কলতান এমন যুবকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বিশ্বাস করছেন না কেউ।  
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ-খুনের বিচার চেয়ে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর ‘এবার উৎসবে ফিরুন’ মন্তব্য তীব্র ধিক্কারের মুখে পড়েছে। ৯ আগস্ট, যেদিন দেহ মিলেছিল, সেদিন থেকেই আন্দোলনের সামনের সারিতে রয়েছে ডিওয়াইএফআই, এসএফআই এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। বারবার তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারের আক্রমণের মুখেও পড়তে হচ্ছে। এর আগে কলকাতা পুলিশ ছাত্র-যুব কর্মীদের রাতের বেলায় তুলেছে। লালবাজারে ডেকে পাঠিয়েছে। ১৪ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের শিকার প্রতিবাদীদের মধ্যে ছিলেন ছাত্র-যুব এবং মহিলা কর্মীরা। 


রায়গঞ্জ থানায় বিক্ষোভ।

রবিবারই কলকাতার আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানার সামনেও হয় বিক্ষোভ। মানিকতলায় হয়েছে মুক্তির দাবিতে সই সংগ্রহ। মুর্শিদাবাদে রঘুনাথগঞ্জ থানা ঘেরাও করে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জেও হয়েছে থানা ঘেরাও। 


ধূপগুড়িতে থানায় বিক্ষোভের পাশাপাশি মিছিল ছাত্রী-যুবতী-মহিলাদের।

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, মিথ্যা মামলা চাপিয়ে একজন তরুণ প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভীমা কোরেগাওয়ের মতো কাণ্ডে বিজেপি সরকার প্রতিবাদ দমনে এই পথ নিয়েছিল। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সময়েও তা দেখা গিয়েছে। বিজেপি-আরএসএস’কে সরকারকে অনুসরণ করে একই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার।

ডেবরা থানায় বিক্ষোভের ভিডিও

Comments :0

Login to leave a comment