প্রতীম দে, সৌরভ গোস্বামী
মেয়েদের জন্য নিরাপদ রাজ্য চাই, ধর্ষকদের জন্য নয়।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে এই স্লোগানেই সোচ্চার কলেজ স্ট্রিট। এখান থেকে ধর্মতলা চলবে নাগরিক মিছিল। এসেছেন সব অংশের নাগরিকরা। বুধবার বিকেল চারটের থেকেই সামনে ব্যানার নিয়ে তৈরি মহিলারা।
নাগরিক মিছিলের সমর্থন আগেই জানিয়েছে বামফ্রন্ট। আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত মহিলা পিজিটি চিকিৎসককে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুনের প্রতিবাদে বুধবার বিকাল ৪টেয় কলকাতায় নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছেন শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। কলেজ স্কোয়ারের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হবে এবং ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে মিছিল শেষ হবে।
এদিকে প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ অশোকনাথ বসু, পবিত্র সরকার, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, রজত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, অশোক মুখোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজা মিত্র, চন্দন সেন, বাদশা মৈত্র, রাজা সেন, খেয়ালী দস্তিদার, দেবদূত ঘোষ, সীমা মুখোপাধ্যায়, হিরন্ময় ঘোষাল, শুভেন্দু মাইতি, কল্যাণ সেন বরাট, শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, মন্দাক্রান্তা সেন, ভগীরথ মিশ্র, দেবজ্যোতি মিশ্র, অনিন্দিতা সর্বাধিকারী, রামআহ্লাদ চৌধুরি, বিমল চক্রবর্তী, জয়রাজ ভট্টাচার্য, সৌরভ পালধি, মানসী সিনহা প্রমুখ এই নাগরিক মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি, সমাজকর্মী, বিজ্ঞানী, ডাক্তার, আইনজীবী, শিক্ষক এবং বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
আসল দোষীদের আড়াল করার আশঙ্কা সর্বত্র। রাজ্য সরকারই সেই চেষ্টা করছে, এই মর্মে সোচ্চার চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও। হাসপাতালে হাসপাতালে দীর্গদিন ধরে চলছে ভয়াবহ বেনিয়ম। আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শাস্তির বদলে বদলি করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকারই। তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে সর্বত্র। নাগরিক মিছিলেও বিক্ষোভের সেই সুর। স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত এখনই। ‘গণশক্তি’-র প্রশ্নে কলেজ স্ট্রিটে এই দাবি তুলেছেন নাট্যকার অভিনেতা চন্দন সেন। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই প্রশাসন গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় ছিল। আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বদলি করা হলো আরেকটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে, কোনও শাস্তি দেওয়া হলো না কেন। তদন্ত ঠিকভাবে করতে হলে এই অধ্যক্ষকে জেরা করা প্রয়োজন।’’
সুঁটিয়ায় নারী নিগ্রহে প্রতিবাদ করে খুন হয়েছিলেন বরুণ বিশ্বাস। তাঁর দিদি প্রমীলা রায় বিশ্বাসও শামিল হয়েছে প্রতিবাদে। তিনি সরাসরি বলেছেন, একের পর এক ধর্ষণ খুন সত্ত্বেও কোনও ভূমিকা নেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
Comments :0