ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশের সঙ্গে জলপাইগুড়িতে রুট মার্চ করতে দেখা গেলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
রবিবারই সিপিআই(এম) কর্মীরা মুছতে শুরু করেছেন বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবরাজ বর্মনের প্রচারে লেখা দেওয়াল। সব দলেরই এই দায়িত্ব নেওয়ার কথা থাকলেও অন্য কোনও দলকে এই উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি এদিন।
২০১১ সালে রাজ্যের পালাবদল হলেও জলপাইগুড়ির অধিকাংশ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন বামপন্থীরা। ২০১৩’র পঞ্চায়েত নির্বাচনের এই জেলায় জেলা পরিষদ ও অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয় বামপন্থীরা।
তৃণমূল সরকারে আসীন হওয়ার পর অশান্তির বহু ঘটনা দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়িতে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও বামপন্থী কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুটমার্চ করতে। জলপাইগুড়ির জেলা শাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই কোম্পানির ভোট গণনা পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে। বাকি সমস্ত জওয়ান দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য চলে যাবে। মোতায়েন জওয়ানদের এক কোম্পানি স্ট্রং রুম পাহারা দেবে এবং বাকি জওয়ানরা বিভিন্ন গ্রামে নিয়মিত রুট মার্চ করতে দেখা যাবে।
জলপাইগুড়িতে ভোট নেওয়া হয়েছে রাজ্যের প্রথম দফায়, গত শুক্রবার। বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবরাজ বর্মনের দেওয়াল মোছার কাজ শুরু হয় রবিবার সকাল থেকে। শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বামফ্রন্ট ও জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থনে লেখা ২৫টি দেওয়াল লিখন মোছা হলো পার্টি কর্মীদের উদ্যোগে।
Comments :0