Haroa Shootout

হাড়োয়ায় খুন তৃণমূলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য

রাজ্য জেলা

Haroa Shootout


হাড়োয়ায় দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে খুন তৃণমূলের নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সাহেব আলি(৪০)। শনিবার রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে সামলা বাজার এলাকায়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ১৪-১৫ রাউন্ড গুলি চালায় বলে সূত্রের খবর। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় সাহেব আলির দেহ। তাঁর মাথায়, কোমরে, বুকে সাতটি গুলি লাগে। ঘটনাস্থলে মারা যায় সাহেব। মৃত পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী হালিমা বিবির অভিযোগ, এই খুন পরিকল্পিত খুন‌। তিন মেয়েকে নিয়ে অথৈ জলে তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। হালিমা বিবির আরও অভিযোগ কেন অঞ্চল সভাপতি সিরাজ গাজি অত রাতে সাহেবকে ডেকে পাঠালো মিটিংয়ের নামে। 

নিহত সাহেব আলি খাসবালন্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর সামলা বিহারী বুথ থেকে এবারই পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচিত হন। নাসিরহাটি ঘাটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এলাকায় তোলাবাজ বলে পরিচিত ছিলেন। ছিলেন খাসবালন্দা এলাকার দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা। সূত্রের খবর, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সিরাজ গাজির বাড়িতে রাত ১২ পর্যায়ে দলীয় সভা চলে। সেই সভায় সাহেব আলি ছিলেন। সভা থেকে তাঁর এক সঙ্গীকে নিয়ে মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সাহেব মোটর বাইকের পিছনে বসে ছিলেন। ফেরার পথে সামলা বাজার এলাকায় আসতেই তাদের মোটরবাইকটিকে আটকায় দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীকে ঘিরে ধরে একের পর এক গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সাহেব আলি। সঙ্গীর পায়ে গুলি লাগে। গুরুতর জখম হয়। আহত অবস্থায় হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাহেব আলিকে মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এলাকায় পুলিশ যায়। ঘটনাস্থলে রয়েছে চরম উত্তেজনা। সাহেব আলির আচমকা এই খুনের ঘটনায় সিরাজ গাজির বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ। অধিক রাত পর্যন্ত তার বাড়িতে কী এমন গুরুত্বপূর্ণ সভা ছিল। সভা থেকে ফেরার পথে খুন হয় সাহেব আলি। স্বাভাবিকভাবেই এই খুনের পিছনে সিরাজ গাজির হাত থাকতে পারে অনুমান স্থানীয় মানুষের। ঘটনার পর দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ঘটনাস্থলে থাকা একটি অটোরিকশায় ভাঙচুর চালানোর পর সেটিকে পাশের নয়ানজুলিতে ফেলে দেয়। দীর্ঘ রাত পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। 

যদিও স্থানীয় বিধায়ক হাজি নরুল ইসলাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কোন ব্যক্তিগত আক্রোশের বশে এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। এর ঘটনার পিছনে কোন রাজনৈতিক কারণ নেই। বিধায়কের এহেন মন্তব্য মানতে নারাজ তৃণমূলের একটি অংশ। তাদের বক্তব্য সাহেব আলির পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া দলের অপর গোষ্ঠী মেনে নিতে পারে নি। তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিল সাহেবকে হারিয়ে দিতে। তারপরও সাহেব জয়ী হয়। এ জিনিস মেনে নিতে না তাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিল। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত পওয়া খবর জানা গেছে  এই খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

Comments :0

Login to leave a comment