Rajarhat TMC Leader

ফের সালিশি সভার নামে তৃণমূলের অত্যাচার, এবারে রাজারহাট

রাজ্য

‘বিবেক বান’ তৃণমূল নেতাদের সালিশি সভা পর্বের সিরিয়াল চলছে একের পর এক। এবারে রাজারহাট ভাটিণ্ডা পার্টি অফিসের তুলে নিয়ে এসে সালিশি সভার নামে অত্যাচার করার ছবি সামনে চলে এলো। রাজারহাট ভাটিণ্ডা বাসিন্দা যুবক গৌতম সরকার অভিযোগ দায়ের করে সোমবার বলেছেন, তার পিতার অন্তোষ্টিক্রিয়ার চার দিন পরে তাকে রাজারহাটের ভাটিণ্ডা তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভার নামে মারধর করা হয়েছে। 
অভিযোগ, রাজারহাট বিষ্ণুপুর ১ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রক্তিম করের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রথমে সবকিছু অস্বীকার করলেও পরে ফের সংবাদ মাধ্যমে বলেন, কালীঘাট থেকে কার্তিক ব্যানার্জি’র পরিচিত এক ব্যক্তি গৌতম সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার বিচার চেয়ে রক্তিম করের কাছে আসার পরে তাকে ভাটিণ্ডা পার্টি অফিসে ডাকা হয়েছিল। তুলে নিয়ে আসা হয়নি। বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। মারধর করা হয়নি। আঘাত করার অভিযোগসহ জামিন অযোগ্য ধারায় রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান আক্রান্ত যুবক গৌতম সরকার। জানা গেছে বিরোধীদের মারধর করা সহ ভোটের দিনে বোমাবাজি এলাকা দখল করা থেকে শুরু করে নানান অত্যাচারের ঘটনার সাথে যুক্ত ছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রক্তিম কর। তিনি নিজেকে দেবরাজ চক্রবর্তী’র লোক বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। প্রশ্ন উঠেছে, আক্রান্ত যুবকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে পুলিশ প্রশাসনের কাছে না গিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে ডেকে সালিশি সভা করা হলো কেন? সালিশি সভার নামে তৃণমূলের অত্যাচারের এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে পুলিশ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখতে চায় রাজারহাট হাতিমার মানুষজন।
অপর একটি ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই ছাত্র পরিষদ কর্মী বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে সোমবার। যদিও অভিযোগকারীর পরিবারের সদস্যদের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য লাগাতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অভিযুক্তরা। আক্রান্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী সায়ন্তন রায় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, বেলঘরিয়া থানায় এফআইআর করে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। রথের দিন থেকে ঘটনার সূত্রপাত। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা দেবজ্যোতি দে ও রানা ভৌমিক তাদের সঙ্গে থাকার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল সেদিন থেকেই। পরশুদিন দেশপ্রিয় নগরের আদর্শ পল্লীতে একটি ক্লাবে, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অর্ণব পাল সায়ন্তনকে মারধর করা হয়।   ক্লাবের মধ্যে আটকে রেখে সারারাত ধরে মারধোর ও জোর করে মদ্যপান করানোর জন্য জুলুম চলতে থাকে বলে অভিযোগে ও সংবাদ মাধ্যমে জানায় সায়ন্তন। অঞ্চলের মানুষজন জানান, এই ক্লাবে অসামাজিক কাজকর্ম হয়ে থাকে ফলে এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত থাকেন। অভিযোগ দায়ের করার পরও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

Comments :0

Login to leave a comment