Venezuela White House

ভেনেজুয়েলার জলযানে একতরফা গোলাবর্ষণে সায় হোয়াইট হাউসের

আন্তর্জাতিক

মাদক চোরাচালানের কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু ভেনেজুয়েলার থেকে একের পর এক ছোট জলযানের ওপর বোমাবর্ষণ অব্যাহত আছে। ক্যারিবয়ানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা মার্কিন নৌবাহিনীর অ্যাডমিরালের নির্দেশেই চলছে বোমাবাজি। 
ক্যারিবিয়ানে এর মধ্যে ভেনেজুয়েলার অন্তত ৮০ জন নাগরিককে হত্যা করেছে আমেরিকার নৌবাহিনী। গত সেপ্টেম্বরে একটি জলযানে পরপর বোমা ফেলে একাধিক যাত্রীকে হত্যার ঘটনা সামনে আসায় প্রশ্নের মুখে পড়ে ট্রাম্প প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিনা লেভিট বলেন, নৌসেনার অ্যাডমিরালেরত নির্দেশেই হয় এই বোমাবর্ষণ। প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ অনুমোদন দিয়েছেন এই ধরনের আক্রমণে। তবে জলযানে সবাইকে হত্যার আদেশ দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনাটিতে বোমাবর্ষণের পরও দুই যাত্রী জীবিত ছিলেন বলে জানাচ্ছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তাঁরা জলে যাঁপিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন প্রাণ বাঁচাতে। সে সময় যুদ্ধজাহাজ থেকে ফের গোলা ছুঁড়ে দু’জনকেই হত্যা করে আমেরিকার নৌসেনা। 
নৌসেনার সেই ভূমিকাকেই এদিন অনুমোদন করেছে ওয়াশিংটন। লেভিট বলেন, অ্যাডমিরাল ফ্র্যাঙ্ক ব্র্যাডলে নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে থেকেই দ্বিতীয়বার গোলা ছোঁড়ার নির্দেশ দেন।
গত কয়েকমাস ক্যারিবিয়ানে ভেনেজুয়েলার জলসীমা ঘিরে বসে রয়েছে আমেরিকার নৌবহর। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মাদক পাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বলে ভেনেজুয়েলা আক্রমণের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। ভেনেজুয়েলার আকাশপথ বন্ধ করার একতরফা ঘোষণা করেছেন। তবে সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করে ভেনেজুয়েলায় বিমান চলাচল চালু রেখেছেন কলম্বিয়ার আরেক বামপন্থী রাষ্ট্রপতি গুস্তাভো পেট্রো।
আবার ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সমঝোতারও চেষ্টা চালাচ্ছেন। যার অন্যতম লক্ষ্য, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলায় আমেরিকার বহুজাতিকদের অবাধ দখলের সুযোগ। আন্তর্জাতিক মহলের বড় অংশই মনে করছে যে ভেনেজুয়েলার নির্বাচিত বামপন্থী সরকারকে গায়ের জোরে হটাতেই এই আয়োজন।

Comments :0

Login to leave a comment