Dharavi

আদানিকে ধারাভি দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করছে মহারাষ্ট্র

জাতীয়

বরাত পেয়েছিল নভেম্বরেই। এবার এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি তুলে আবাসন তৈরির সরকারি নির্দেশিকাও পেতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। সরকারি নির্দেশিকা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এবার শুরু হবে উচ্ছেদ। মুম্বাইয়ের খারাভি বস্তি এখন আদানি গোষ্ঠীর হাতে। সরকারি হিসেবেই যেখানে বসত প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের। দোকান বা ছোট ব্যবসার সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। 

মুম্বাইয়ের মধ্য অঞ্চলে প্রায় ২৪০ হেক্টর জুড়ে এই বস্তি। আদানি গোষ্ঠীর সহযোগী সংস্থা পরিচালিত সংবাদ প্রতিষ্ঠান বিকিউ প্রাইমকে সর্বশেষ সিদ্ধান্তের খবর দিয়েছেন শিন্ডে সরকারের কর্তা। বিকিউ প্রাইম জানিয়েছে, ধারাভি পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রধান এসভিআর শ্রীনিবাসন জানিয়েছেন যে সরকারি নির্দেশ জারি হয়েছে। চিঠিও পৌঁছে যাবে। 

মূল প্রকল্প ৫শো কোটি টাকার। বাসিন্দাদের সুস্থ, স্বাস্থ্যসম্মত ঘর এবং নাগরিক সুবিধা দেওয়া তার লক্ষ্য। প্রকল্পের জন্য বিশেষ বন্দোবস্তের আর্থিক আয়তন ৫শো কোটির ৮০ শতাংশ খরচ করবে বেসরকারি সংস্থা। বাকি ২০ শতাংশ রাজ্য সরকারের। 

বেসরকারি সংস্থা মুনাফা তুলে নেবে আবাসন এবং বাণিজ্যিক কাঠামো বিক্রি করে। সব মিলিয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা এই প্রকল্পে ব্যবসার আয়তন। আন্তর্জাতিক টেন্ডার ছাড়া হলেও মূল পর্বে আদানি ছাড়া ছিল ডিএলএফ এবং নমন গোষ্ঠী। নভেম্বরে নিলাম পর্বে আদানি ৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব রেখেছিল। 

ধারাভির বাসিন্দাদের জন্য আপাতত বিশেষ শিবির করা হবে। প্রকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তাঁরা। প্রায় সাত বছর লাগবে প্রকল্প শেষ হতে। মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশিকা জারি হলে বোঝা যাবে ঠিক কী ব্যবস্থা করে হচ্ছে উচ্ছেদ। ঘরবাড়ি তাঁরা পাবেন কোথায়। কেমনই বা হবে নতুন ঘর। 

Comments :0

Login to leave a comment