পগেলগামের নিহতদের পরিবার সঠিক বিচার পাবে। এই ঘটনার সাথে যারা যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদীরা এবং তাদের মদত দাতারা পরিকল্পনা মাফিক পহেলগামে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কারণ তারা কাশ্মীরকে ধ্বংস করতে চায়।’’
নরেন্দ্র মোদীর কথায় এই সন্ত্রাসবাদী হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদীদের হতাশা এবং ভীতি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান এই হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার।
গত ২২ এপ্রিম পহেলগামে সন্ত্রাসাবাদীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লস্করই তায়বা ঘনিষ্ট একটি জঙ্গি সংগঠন। এই ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাবাদীর বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের খোঁজে চলছে তল্লাসি।
এদিন মোদী বলেন, ‘‘কাশ্মীরে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছিল। সেখানে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছিল। স্কুল, কলেজ গুলোয় পড়ুয়াদের ভীড় বাড়ছিল। বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ হচ্ছিল। বহু পর্যটক আসছিলেন। যার ফলে সেখানকার মানুষদের আব বাড়ছিল। কিন্তু আমাদের দেশের শত্রু এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শত্রুদের এই সব সহ্য হয়নি।’’
বৃহস্পতিবার পহেলগামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে সিপিআই(এম) সমর্থন জানাবে, তবে কোনো প্রকার উগ্র জাতীয়তাবাদ যেন না ছড়ায়।
তার কথায়, কাশ্মীরিরা এই সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দায় একজোট এবং বর্বরোচিত এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সাহায্য প্রদান করেছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্ম ও বিশ্বাস নিয়ে প্রচারণা বন্ধ করতে যৌথভাবে আবেদন জানানো উচিত।
তিনি নিরাপত্তার ত্রুটির বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং বলেন, পুলওয়ামা ঘটনার পর সেই ঘটনার তদন্তের ফলাফল সম্পর্কে জনগণকে কিছুই জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রে যেন একই ঘটনা না ঘটে। আমরা একত্রিত হয়ে নিশ্চিত করব যে অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
Comments :0