Carbide Gun Maldah

এবার মালদহে ‘কার্বাইড গান’ ফেটে আহত ৯ কিশোর

জেলা

মধ্য প্রদেশের ভোপালের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের মালদহ। ‘কার্বাইড গান’ ফেটে একাধিক কিশোর আহত হয়েছে। 
বিভিন্ন এলাকায় কিশোরেরা নিজেরাই বাড়িতে তৈরি করছে এই বন্দুক বলে জানা গিয়েছে। বানানো হচ্ছে বাজির মতো শব্দ তৈরির জন্য, কিন্তু তার পরিণাম হচ্ছে ভয়ঙ্কর। 
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘কার্বাইড গান’ফেটে আহত কিশোরের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে বলে জানা যাচ্ছে। ইউটিউব-এ এই বাজি বানানোর ‘টিউটোরিয়াল’ হচ্ছে বলে জানিয়েছে গাজোলে আহত এক কিশোর।
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, প্লাস্টিক বা টিনের পাইপে ভরে বানানো হয় এই বন্দুক। এর সঙ্গে থাকে একটি লাইটার। ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও জলের বিক্রিয়ায় তৈরী হয় দাহ্য গ্যাস এসিটিলিন।  আগুনের স্ফুলিঙ্গ পেলেই বিকট আওয়াজ করে ফাটে।  
জানা যাচ্ছে, বন্দুকের আগুন নেভানোর সময় হাতে লাগে কার্বাইড। হাত থেকে চোখে পৌঁছালেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমে চোখে ঝাপসা দেখে, তারপর স্থায়ী দৃষ্টি  হীনতার দিকে ঠেলে নিয়ে যায় আহতকে। 
গাজোলের বাসিন্দা  ১৩ বছর বয়সী এক  আহত শিশু  জানায়,' খালি বোতলের পিছনে ফুটো করে কার্বাইডে  দিয়ে বাজি বানাচ্ছিলাম। কিন্তু সেটা ফাটছিল না । তাই পিছনের ফুটোতে চোখ রেখে দেখছিলাম। হাতে লাইটার ছিল। অসাবধানে লাইটারে হাত পড়তেই বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে চোখে জ্বালা শুরু হয়। জল দিয়ে অনেকবার চোখ ধুয়েছি। প্রথমে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না , এখন যদিও পাচ্ছি। আমি মোবাইলে ইউটিউব দেখেই বাজি বানাচ্ছিলাম।'   
এবারের দীপাবলিতে এই আতশবাজিতে মেতে ছিলেন কিশোর থেকে তরুণরা। মালদহে এই বন্দুকের ব্যবহারে ৯ জনের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারও পুড়ছে মুখ। 
মধ্য প্রদেশেও  দৃষ্টিহীন হওয়ার মুখে ১৮ জন। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, যারা দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছেন তাদের চোখের রেটিনা পুড়ে যাচ্ছে অথবা শিশুদের  ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তাদের চোখের অংশ ফেটে যাচ্ছে। যার ফলে স্থায়ীভাবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে তারা।
এই বন্দুককে অস্ত্র আইনের আওতায়  এনে নিষিদ্ধ বিস্ফোরক হিসাবে ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। একে আগেই ১৮ অক্টোবর এই বাজিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে দেয় এই রাজ্য।
বিভিন্ন অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৩০০ মানুষ  আহত হয়েছেন। ডাক্তাররা এই বন্দুককে খেলনার বদলে ইম্প্রোভাইসড বিস্ফোরক আখ্যা দিয়েছেন। ই-কমার্স সাইটে বাঁদর তাড়ানোর বন্দুক বলে বিক্রির বিজ্ঞাপন রয়েছে এই কার্বাইড গানের। 

Comments :0

Login to leave a comment