Supreme Court

বিহারে মুসলিম নাম বাদের হার অস্বাভাবিক, অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে

জাতীয়

এসআইআর’র খসড়া তালিকায় বাদ ভোটদাতাদের ২৫ শতাংশ মুসলিম। চূড়ান্ত তালিকায় বাদ নামের ৩৪ শতাংশও মুসলিম। আনুপাতিক বিচারের মুসলিমদের নাম বেশি হারে বাদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ল নির্বাচন কমিশন। 
বৃহস্পতিবার শুনানিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন যদিও বলেছে যে এই অভিযোগ অসত্য। নাম চিহ্নিত করার সফ্‌টওয়ার ব্যবহার করা হয়নি। অভিযোগকারীর এই অনুমানের ভিত্তি নেই। এমন সফ্‌টওয়ারের দক্ষতাও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। 
অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) বিহারে এসআইআর সংক্রান্ত মামলায় দায়ের একাধিক আবেদনকারীর মধ্যে রয়েছে। এডিআর এসআইআর’র তথ্যের নিরিখে মুসলিমদের বেশি হারে বাদ দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে। 
বিহারে আগের ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ যায় এসআইআর’র খসড়া তালিকায়। এডিআর বলেছে, এই পর্বে দাব যাওয়া নামের ২৫ শতাংশ মুসলিম। এর পর তৈরি হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তখন আরও ৩.৬৬ লক্ষ নাম বাদ যায়। এই পর্বেও বাদ যাওয়া নামের ৩৪ শতাংশ মুসলিম। 
বৃহস্পতিবার দুই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং সূর্য কান্তের বেঞ্চে বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর ঘিরে দায়ের একাধিক মামলার শুনানি হয়। শীর্ষ আদালতকে বারবার এই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়ে। কমিশনই নির্দেশ দিয়েছে যে আধার কার্ডকেও ভোটাধিকারের নথি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। 
সুপ্রিম কোর্ট এদিন জানিয়েছে এসআইআর মামলার শুনানি হবে আগামী ৪ নভেম্বর। 
এদিন এডিআর’র আইনজীবী প্রশাসন্তত ভূষণ সওয়ালে বলেন নির্বাচন কমিশন খসড়া তালিকা তৈরিতে কাদের নাম বাদ দিয়েছে এবং কোন কোন নাম যোগ করেছে সেই তালিকা প্রকাশ করেনি। সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে নাম বাদ এবং যোগের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিক। 
বিচারপতি কান্ত বলেন, ‘‘আমাদের ভরসা রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট তাদের দায়িত্ব পালন করবে। তারা এই তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য। আমরা মামলার শুনানি বন্ধ করছি না।’’

Comments :0

Login to leave a comment