UPSC LATERAL ENTRY

প্রতিবাদের মুখে ‘ল্যাটরাল এন্ট্রি’-তে নিয়োগ বাতিল করছে কেন্দ্র

জাতীয়

প্রতিবাদের জেরে সরকারি উঁচু পদে সমান্তরাল নিয়োগের বিজ্ঞাপন তুলে নিতে চলেছে ইউপিএসসি। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দর সিং চিঠিতে ‘সংরক্ষণ নীতি সঙ্গে সাযুজ্যমূলক নিয়োগ নীতি প্রয়োগ করার’ অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্তরে নিয়োগ বিষয়ক এই প্রতিষ্ঠানকে। 
বিজ্ঞাপন ১৭ আগস্ট প্রকাশের পর থেকে বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক এই পদক্ষেপকে সংবিধানের ওপর আক্রমণ আখ্যা দিয়েছিলেন। কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ‘দলিত, অন্য অনগ্রসর অংশ বা ওবিসি এবং আদিবাসীদের ওপর আক্রমণ’ বলে চিহ্নিত করেন। 
২০১৮-তে নরেন্দ্র মোদী সরকার সরাসরি নিয়োগ বা ‘ল্যাটারাল এন্ট্রি’ প্রথা চালু করার ঘোষণা করে প্রথম। তার আগে থেকেই সরকারি উঁচু পদে এই পদ্ধতিতে নিয়োগের সুপারিশ ছিল। ২০০৫ সালে কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের সময় গঠিত বীরাপ্পা মইলির নেতৃত্বাধীন প্রশাসনিক সংস্কার কমিটি এই পদ্ধতি চালু করার সুপারিশ করে। সে সময়েও বামপন্থী এবং অন্য বিভিন্ন অংশের প্রতিবাদে আটকে যায় নিয়োগ। মোদী সরকার সক্রিয় হয় এই পদ্ধতিতে নিয়োগের পক্ষে নীতি আয়োগের সুপারিশ পত্র প্রকাশের পর থেকেই। 
আগস্টের বিজ্ঞপ্তিতে ইউপিএসসি জানায় কেন্দ্রের ২৪টি মন্ত্রকের মো ৪৫টি পদে নিয়োগ হবে এই পদ্ধতিতে। ডিরেক্টর, ডেপুটি সেক্রেটারি এবং জয়েন্ট সেক্রেটারির মতো পদমর্যাদায় নিযুক্ত হবেন এই আধিকারিকরা। বিজ্ঞাপন অনুযায়ী অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কর্মরত, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতদের পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরতরাও আবেদন জানাতে পারবেন। কিন্তু কোথাও সংবিধানের নীতি মেনে সরকারি কাজে সংরক্ষণের নীতি বা সংরক্ষিত পদের ঘোষণা ছিল না। 
কেন্দ্রের বিজেপি জোট এনডিএ’র শরিক চিরাগ পাশোয়ানের দাবি, তিনি নিজে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর কাছে আপত্তি জানিয়েছিলেন। বিরোধীদের তোলা আপত্তিতে সমস্যায় পড়ে কেন্দ্রের জোটে শরিক একাধিক দলই। এদিন বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্র চিঠি পাঠানোয় বিষয়টিকে ‘সংবিধানের জয়’ বলেছেন আরজেডি নেতা মনোজ ঝা। রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেছেন, এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার হচ্ছে। কিন্তু মোদী সরকারের মেয়াদে বহু ক্ষেত্রে সংরক্ষণের নীতিকে উপেক্ষা করে বা দুর্বল করে নিয়োগের ব্যবস্থা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেও এমন উদাহরণ রয়েছে। 
সরকারি পদে নিয়োগ হয় ইউপিএসসি’র পরীক্ষার মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা এবং পদোন্নতির ভিত্তিতে এই স্তরে পৌরছানো যায়। সমান্তরাল নিয়োগে ইউপিএসসি’র মাধ্যমে নিযুক্ত হন অন্য ক্ষেত্রে নিযুক্ত ব্যক্তিকে সরাসরি উঁচু পদে বসানোর নীতি ঘোষণা করা হয়। 
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসি-কে পাঠানো চিঠিতে মন্ত্রী জিতেন্দর সিংয়ের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নিজে চাইছেন সংরক্ষণের নীতি মেনে যেন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

Comments :0

Login to leave a comment