দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি
তীব্র দাবদাহে স্বস্তি নেই বন্যপ্রাণীরও। জঙ্গল ছেড়ে হাতির পালের ঠিকানা হয়েছে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল ঘেঁষা তিস্তা ব্যারাজের গজলডোবা ক্যানালের জল।
প্রকাশ্যেই চলছে ডুয়ার্সে বন ধ্বংস। দক্ষিণের মতো উত্তরবঙ্গেও চলছে দাবদাহ। বুধবার লাটাগুড়ি অঞ্চলে সান স্ট্রোকে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।
স্বস্তিতে নেই বন্যপ্রাণ। গত কয়েক দিন ধরেই হাতির পাল নামছে ক্যানালে। পর্যটক থেকে স্থানীয়রা সেই দৃশ্য বন্দি করছেন ক্যামেরায়। বৃহস্পতিবার সূর্য মধ্য গগনে যেতেই হাতিরা নামে জলে। গত কয়েকদিন থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি না থাকায় অস্বাভাবিক গরমে নাজেহাল মানুষ থেকে পশু পাখিও।
তাপ প্রবাহের জেরে বেশ ক'দিন ধরেই নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। দক্ষিণের তুলনায় উত্তরবঙ্গে খানিক কম হলেও সমানে বাড়ছে তাপমাত্রা। বিভিন্ন জেলাগুলির সঙ্গে উত্তরের জলপাইগুড়ি জেলাতেও চড়ছে গরমের পারদ। বৃষ্টির দেখা নেই টানা কয়েকদিন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দাবদাহ অনেকটাই বেশি ছিল। শহরে রাস্তাঘাটে লোকজন চলাচল একেবারেই করেননি প্রায়। ছাতা ছাড়া শহরে বেরনো যাচ্ছে না। ঠান্ডা পানীয়, ডাবের বা আখের রসের নিজেদের গলা ভিজিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।
জলপাইগুড়িতে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরম হাওয়া আর তীব্র রোদের ঝলকানিতে নাজেহাল জনজীবন।
Comments :0