আরজি করের ভয়াবহ ঘটনার পরেও কি টনক নড়েছে প্রশাসনের? মনে হয় না। যদি টনক নড়তো তাহলে পুরুলিয়া শহরে দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সদর হাসপাতালের ক্যাম্পাসের মধ্যে বাথরুমের পাশের ঘরে বসতো না মদের আসর। সন্ধ্যা সাতটাতেই হাসপাতালের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য থাকা কর্মীরা ঘরের মধ্যে মদের আসর বসিয়েছেন। রুমের পাশেই রয়েছে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য বাথরুম। সেই বাথরুমে মানুষ যাতায়াত করছেন। তার পাশের ঘরেই চলছে মদের আসর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানেন সবই কিন্তু দায় সারা ভাব দেখিয়ে এড়িয়ে যান ঘটনার কথা জানতে পেরে। জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। সদর হাসপাতালে এই চিত্র প্রমাণ করে দিচ্ছে আর জি করের নৃশংস ঘটনার পরেও ঘুম ভাঙেনি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের, টনক নড়েনি প্রশাসনের। নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই।
পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাস। ইমারজেন্সিতে ঢোকার জন্য দুদিকে দুটো গেট। নিরাপত্তার কারণে একটা গেট বন্ধ করে দেওয়া আছে। একটা গেট দিয়েই রোগী, রোগীর পরিবার, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতায়াত করেন। ঝকঝকে আলোর মধ্যে পুলিশ ঘুরছে। গোটা হাসপাতাল জুড়ে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অসংখ্য পোস্টার রয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে এক প্রান্তে রয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। সেখানে টিমটিম করে আলো জ্বলছে। ভেতরে চিকিৎসক এবং নার্স রোগীর পরিষেবা দিচ্ছেন। বাইরে অপেক্ষায় রয়েছেন ভর্তি থাকা রোগীর পরিবারের লোকজন। কয়েক মিটার দূরেই রয়েছে পুরুষ এবং মহিলাদের ব্যবহারের জন্য বাথরুম। বাথরুমের ঠিক পাশেই রয়েছে সেই বাথরুম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্মীদের থাকার একটা ঘর। উল্টোদিকে রয়েছে আবার পুলিশ ক্যাম্প। বাথরুমের পাশে সেই ঘরে সন্ধ্যা সাতটাতে মদের আসর বসিয়েছেন দু তিনজন ব্যক্তি। মাটিতে বসে সামনে গ্লাস পেতে চলছে মদের আসর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বীকার করে নিয়ে বলছেন অল্প একটু খেয়েছি। খোদ হাসপাতালের মধ্যেই যদি বসে মদের আসর তাহলে নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত তা সহজেই অনুমেয়। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল জুড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
Purulia Hospital
পুরুলিয়া হাসপাতালের বাথরুমের পাশের ঘরে মদের আসর
×
Comments :0