মদের দোকানে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কলকাতা কর্পোরেশনের অন্তর্গত ৯০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। রবিবার বিকেলে লেক সংলগ্ন সাউথ এন্ড পার্ক এলাকার একটি মদের দোকানে বচসা হয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন এক বক্তিকে দোকানের কাউন্টারে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধোর করে মদের দোকানের দুই কর্মচারী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুশান্ত মন্ডল। তিনি পঞ্চাননতলা বস্তির ২২-৩২ নম্বর এলাকায় শ্বশুড় বাড়িতে থাকতেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণা জেলায়। তিনি ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের সামনের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের সভাপতি ছিলেন।
এলাকার মানুষের বক্তব্য, মাত্র পাঁচ টাকার জন্য পিটিয়ে খুন করা হয়েছে সুশান্ত মন্ডলকে। গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে ওই মদের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেও। সেখানেও দেখা গিয়েছে, সুশান্ত মন্ডলের পিঠে নির্মম ভাবে পরের পর কিল মারছেন দোকানের এক কর্মচারী। তাঁর মাথাও দেওয়ালে ঠুকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
গুরুতর আহত অবস্থায় সুশান্ত মন্ডলকে আমরি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই ঘটনা সামনে আসায় প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন পঞ্চাননতলা এলাকার মানুষ। আমরি হাসপাতালের সামনে ঢাকুরিয়া ব্রিজ অবরোধ করা হয়। ঘটনাস্থলে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ উপস্থিত হলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, মদের দোকানের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। যদিও রবীন্দ্র সরোবর থানা সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সোমবার আদালতে তোলা হবে।
সুশান্ত মন্ডলের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ওই মদের দোকানটিতেও ব্যপক ভাঙচুর চলে। দোকান থেকে মদ লুট হয়েছে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই এলাকার তৃণমূল নেতা তথা ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ।
Comments :0